Durga Puja: ওদিকে ভাঙা উড়ালপুলের কাজ চলছে, এরই মধ্যে মায়ের আবাহন পোস্তাবাসীর
Posta: এক সময় ধুমধাম করেই দুর্গাপুজো হতো এখানে। তবে নির্মীয়মাণ উড়ালপুলটি ভেঙে পড়ার পর থেকেই বদলে গিয়েছে সেই আড়ম্বরের ছবি।
কলকাতা: ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ। পোস্তায় ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুল। মাঝের এতগুলো বছর। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও বছরকার দিনে মায়ের আবাহন করতে ভোলেননি এলাকার বাসিন্দারা। এবারও তার অন্যথা হল না। কংক্রিটের মাঝে এখানে পূজিতা হচ্ছে দুর্গা। এই শারোদৎসব নিয়ে বাঙালির আবেগ যে কতটা, এই ভাঙাচোরা পোস্তা উড়ালপুলের সংলগ্ন এলাকায় না গেলে বোঝা যাবে না।
এক সময় ধুমধাম করেই দুর্গাপুজো হতো এখানে। তবে নির্মীয়মাণ উড়ালপুলটি ভেঙে পড়ার পর থেকেই বদলে গিয়েছে সেই আড়ম্বরের ছবি। তবে পুজো কিন্তু বন্ধ হয়নি। উদ্যোক্তারা জানালেন, প্রতি বছর এখানে বহু মানুষ ঠাকুর দেখতে আসেন। এই দুর্ঘটনার পর তা আর হবে না, ভাবাই যাচ্ছিল না। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় ‘পুজো হবেই’।
৩১ মার্চ, ২০১৬-এর পর থেকে ভয় এলাকার মানুষগুলোর রোজকার সঙ্গী। এ বছর উড়ালপুল ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পর ভয় আরও বেড়েছে। বাড়ি ছেড়েও চলে গিয়েছেন অনেকে। তবে যাঁরা আছেন, তাঁরা কিন্তু পুজো থামাননি। ভয় দুশ্চিন্তা নিয়েই চলে আসছে দুর্গতিনাশিনীর আরাধনা।
উদ্যোক্তারা জানালেন, উড়ালপুল ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড। রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এপার থেকে ওপারে আসতে পারছেন না মানুষ। পাড়ায় লোকজন পুজো দিতে আসেন। কী ভাবে আসবেন, ঈশ্বরই জানেন। দেখতে দেখতে পোস্তার এই পুজোর ৮৫ বছর হয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ সেই অভিশপ্ত দিন। যেদিন আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল পোস্তা উড়ালপুল বা বিবেকানন্দ উড়ালপুল। মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। পোস্তা উড়ালপুল ভাঙার প্রথম অংশের কাজ সম্পন্ন হলে শুরু হবে দ্বিতীয় অংশ ভাঙার কাজ। গিরিশ পার্ক থেকে থেকে গণেশ টকিজ পর্যন্ত ভাঙা হবে দ্বিতীয় দফায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছ’ মাসের মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে। গোটা ফ্লাইওভার ভাঙতে মোট ১৫.৭৫ কোটি টাকা খরচ হবে। তবে নতুন ফ্লাইওভার তৈরির সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: পুজোর কলকাতায় ছড়িয়ে পড়ে খুশবু, আতরের গন্ধে ভেসে যায় ‘শোভাবাজার-সুতানুটি’