Manik Bhattacharya Wife: ‘পুলিশকে ডেকে লক আপে পাঠাতে বলব’, কোর্টেই মানিকের স্ত্রী-পুত্রকে ধমক বিচারকের
Manik Bhattacharya Wife: শুনানি চলাকালীন আদালতের হেফাজতে থাকায়, সৌভিককে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বলেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার হওয়ার পরই তদন্তে জড়িয়ে যায় তাঁর ছেলের নাম। ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য ও স্ত্রী শতরুপা ভট্টাচার্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সেগুলির লেনদেন নিয়ে চোখ কপালে ওঠে গোয়েন্দাদের। তাই তাঁরাও শুরু থেকেই ছিলেন তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায়। চার্জশিটেও উঠে আসে সৌভিক ও শতরূপার নাম। এরপর আদালত সমন করলে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা দুজনেই। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে ছিল সেই আত্মসমর্পণ ও জামিনের আবেদনের শুনানি। এদিন দুজনের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি (ED)।
শুনানি চলাকালীন আদালতের হেফাজতে থাকায়, সৌভিককে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বলেন বিচারক শুভেন্দু সাহা। আর প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিকের স্ত্রী শতরূপা কাঠগড়ার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিচারকের নির্দেশ মেনে।
মানিকের ছেলে ও স্ত্রীর আইনজীবী ও ইডি-র আইনজীবীর মধ্যে যখন সওয়াল-জবাব চলছে, তখন কোর্টরুমের মধ্যে মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য ও স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্কে কথা বলতে দেখা যায়। এই দৃশ্য দেখেই কার্যত ধমক দেন বিচারক।
বিচারক বলেন, ‘আপনারা কাস্টডিতে আছেন। জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনারা স্বাধীন নয়। এমন কোনও আচরণ করবেন না যাতে কোর্ট কোনও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। এভাবে কথা বললে কলকাতা পুলিশকে ডেকে লকআপে পাঠাতে বলব।’ এরপর চুপ হয়ে যান দুজনেই।
এদিন শতরূপা ভট্টাচার্যের আইনজীবী উল্লেখ করেন, যতবার ডাকা হয়েছে, ততবার গিয়েছেন তাঁর মক্কেল। জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তখন কেন গ্রেফতার করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘আমার মক্কেল নিজে থেকেই আজ হাজিরা দিতে এসেছেন। এতদিন কোথাও উল্লেখ করেননি যে আমি প্রভাব খাটাতে পারি, প্রমাণ নষ্ট করতে পারি। হঠাৎ জামিন খারিজ করার আবেদন করছে ইডি। মানিকের স্ত্রী একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত বলেও আদালতে জানানো হয়েছে। যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন করেন তিনি।’
সৌভিকের আইনজীবীও জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলকে সাতবার ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সহযোগিতাও করেছেন সৌভিক।