Jiban Krishna Saha Case: ‘২৫ হাজার জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে…’, জীবনকৃষ্ণের জামিন খারিজ বিচারকের
Jiban Krishna Saha Bail Plea Dismissed: তিনি বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতির গোটা টাকা বিধায়ক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হয়ে কোনও এক বড় মাথার কাছে পৌঁছেছে।' অর্থাৎ এ যেন পেঁয়াজের খোসা। যার প্রতি স্তরে বসে রয়েছেন এক বা একাধিক জন। ইডির আশঙ্কাও সেটাই। তাই এবার উপরের স্তরের ব্যক্তিদের খোঁজ পেতে চাইছে তাঁরা।

কলকাতা: মিলল না জামিন। ইডির তত্ত্বেই সায় দিলেন বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খারিজ অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিন আবেদন। বৃহস্পতিবার ইডির বিশেষ আদালতে চলছিল শুনানি। সেখানেই জামিন-আর্জি খারিজ করে জীবনকৃষ্ণকে আবার হেফাজতে পাঠালেন বিচারক।
ইডির তত্ত্বেই ‘জীবন-জ্বালা’
এদিন শুনানি পর্বে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে ‘বড় মাথার’ তত্ত্ব তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতির গোটা টাকা বিধায়ক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হয়ে কোনও এক বড় মাথার কাছে পৌঁছেছে।’ অর্থাৎ এ যেন পেঁয়াজের খোসা। যার প্রতি স্তরে বসে রয়েছেন এক বা একাধিক জন। ইডির আশঙ্কাও সেটাই। তাই এবার উপরের স্তরের ব্যক্তিদের খোঁজ পেতে চাইছে তাঁরা।
শুধুই ‘বড় মাথার’ তত্ত্ব নয়, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে নেমে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা, দাবি ইডি আইনজীবীর। এদিন জীবনকৃষ্ণের জামিনের বিরোধিতা করে সওয়ালকারী আদালতকে জানান, ‘কারা কত টাকা দিয়েছে, সেই টাকা কোথা থেকে কোথায় ঘুরেছে, এই নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য উদ্ধার করা গিয়েছে।’
নষ্ট ২৫ হাজার জীবন
সুপ্রিম কোর্টে বাতিল হওয়া ২০১৬ সালের প্যানেলের প্রসঙ্গ উঠে এল জীবন-জামিন মামলাতেও। যোগ্য ও অযোগ্য চিহ্নিত করতে না পারায় সম্প্রতি সুপ্রিম-নির্দেশে বাতিল হয়েছে গোটা নিয়োগ প্য়ানেল। নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হয়েছে চাকরিহারানো প্রার্থীদের। বৃহস্পতিবার শুনানি-পর্বে উঠে আসে সেই প্যানেল বাতিল প্রসঙ্গ। জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আপনার মক্কেল যে অপরাধ করেছে তা মানুষের সামনে স্পষ্ট। ২৫ হাজারের বেশি জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ইডির আগে নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। কিন্তু সেই মামলায় উচ্চ আদালতে জামিন পেয়ে যান তিনি। এরপর এই মামলায় নতুন করে তৎপর হয় ইডি। তবে এবার আর জামিন জুটল না বিধায়কের।
