Election Commission: ‘টোটালটাই বিজেপির লোক…’, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে এবার মুখ খুলল কমিশন, ঘুরিয়ে কী বার্তা?
Election Commission: সোজাসুজি যে অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে সেটার ভিত্তি কী? কারণ কমিশনের যুক্তি কার্ড দেওয়ার পদ্ধতিতে বিএলওরাও থাকেন। তাহলে তাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে হচ্ছে? রাজ্য়কে ঘুরিয়ে বার্তা দিল কমিশন।

কলকাতা: ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্য কর্মিসভায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘কমিশনে টোটালটাই বিজেপির লোক…’। তাঁর এহেন অভিযোগের পর এবার ময়দানে কমিশন। কমিশন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে, ভোটার তালিকা তৈরি করার পুরো প্রক্রিয়ায় কে কোন দায়িত্ব পালন করে থাকেন, তার বিশদে ব্যাখ্যা দেয়। কমিশন স্পষ্ট করেছে, ERO, BLRO, DEO, এমনকি CEO এরা ইলেকট্রোরাল রোলের উপর কাজ করেন। এদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকেন বুথ লেভেল এজেন্ট। এই বুথ লেভেল এজেন্টদের নিয়োগ করেন প্রতিটি রাজনৈতিক দল। যে কোনও অভিযোগ দ্রুত বিএলআরও, ইয়ারও-দের কাছে করার কথাও জানিয়েছে কমিশন। নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করে নির্বাচন কমিশন।
As per RP Act 1950, Registration of Electors Rules 1960 and Manual on Electoral Rolls (https://t.co/7gLgJZuCiD), concerned BLOs, AEROs, EROs, DEOs and CEOs in any State/UT work for the updation of Electoral Rolls. (1/2)
— CEO West Bengal (@CEOWestBengal) February 28, 2025
সোজাসুজি যে অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে সেটার ভিত্তি কী? কারণ সেক্ষেত্রে কমিশনের যুক্তি, কার্ড দেওয়ার পদ্ধতিতে বিএলওরাও থাকেন। ভুয়ো ভোটারের ক্ষেত্রে তাঁহলে তাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে হচ্ছে? রাজ্য়কে ঘুরিয়ে বার্তা দিল কমিশন।
প্রসঙ্গত, ছাব্বিশের নির্বাচনে আগে বাংলায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মিসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা দখল করতে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছে বিজেপি। ” কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন, “কমিশনে টোটালটাই বিজেপির লোক…” মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এই অভিযোগে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারকে চিঠি বিরোধী দলনেতার।
মমতা অভিযোগ করেন, বাংলা দখল করতে ভোটার তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে হরিয়ানা, রাজস্থান, বিহার, পাঞ্জাবের বাসিন্দাদের নাম। সেটা কীভাবে, তাও উদাহরণ দিয়ে কর্মিসভায় বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। ভুয়ো ভোটার খুঁজতে ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে তৎপর শাসকদল। কমিটিও গড়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। মমতার এই মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই অভিযোগে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারকে চিঠিও করেন বিরোধী দলনেতা। এবার রাজ্যকে ঘুরিয়ে বার্তা দিল কমিশনও।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মত এবছরও জানুয়ারি মাসে প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এ পর্যন্ত এক লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। তাঁদের মধ্যে মৃত ভোটার, যে ভোটাররা অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন অথবা ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড রয়েছে, এমন এক লক্ষ ভোটারের নাম ডিলিট হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহার থেকে সবথেকে বেশি অভিযোগ এসেছে এই ভুয়ো ভোটারকে কেন্দ্র করে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সবকিছু খতিয়ে দেখে দ্রুততার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।





