বিধানসভা পিছু ৮ থেকে ১০ কোম্পানি বাহিনী! ৩ কেন্দ্রের ভোটেও থাকবে বন্দুকধারী আধাসেনা
Election Commission Bypolls CRPF: গতকাল এই সংক্রান্ত একটি আবেদন নিয়েই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। তার ২৪ ঘণ্টার অন্দরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলকাতা: শেষ বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) ব্যতীত একটিও বুথ ছিল না। ১০০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে নিরাপত্তার বেনজির বহর দেখেছিল রাজ্যবাসী। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন (Bhawanipur Bypolls) -সহ জঙ্গিপুর ও সমশেরগঞ্জে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই উপলক্ষে তিন কেন্দ্রের প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গতকাল এই সংক্রান্ত একটি আবেদন নিয়েই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। তার ২৪ ঘণ্টার অন্দরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট উপলক্ষে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র পিছু ৮ থেকে ১০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করার কথা ভাবা হচ্ছে। ভোট হতে চলা তিন বিধানসভার মধ্যে অবশ্য রাজ্যবাসীর নজর আটকে ভবানীপুর উপনির্বাচনে। কারণ সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। অপরদিকে, জঙ্গিপুর ও সমশেরগঞ্জে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। বিধানসভা ভোটের সময় এই দুই আসনের প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ার কারণে তা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনই আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
যদিও মাত্র তিনটি আসনে একদিনের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অনেকেই আশা করেননি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কিন্তু যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে এ দিন কমিশন সূত্র নিশ্চিত করে জানিয়েছে, উপনির্বাচন সহ বাকি দুই আসনের ভোটেও থাকবে বন্দুকধারী আধাসেনা। ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেই বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতেই এবারও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরই ভরসা রাখছে কমিশন। ফলে তিন কেন্দ্রের জন্য বিধানসভা পিছু ১০ থেকে ১২, কিংবা তার বেশি পরিমাণ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনেও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা-সহ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আট দফা ধরে চলা নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে রাজ্যে ১০০০ হাজার কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দোবস্ত করা হয়। ভোট যত পিছিয়েছিল, নিরাপত্তাও ততটাই কড়া হয়েছিল। এমনকী, শীতলকুচির একটি বুথে আত্মরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছোড়া গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুও হয়েছিল। ফলে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়টিকে রাজনীতির অঙ্গ হিসেবেই দেখছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে বামেদের শ্রীজীব! কে ইনি? জেনে নিন সবিস্তারে…
আরও পড়ুন: ভোট ঘোষণার পরও পুজো অনুদান কেন? রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যা চাইল নির্বাচন কমিশন