AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fire Accident in Dakshindari: পোড়া পোড়া গন্ধটা ছড়াচ্ছিলই, আচমকা দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল প্লাস্টিক কারখানা!

Fire Accident: আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে প্রথমে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। পরে আগুন দ্রুত  নেভাতে আরও  ৩টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। দমকলের এক ঘণ্টার ম্যারাথন চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Fire Accident in Dakshindari: পোড়া পোড়া গন্ধটা ছড়াচ্ছিলই, আচমকা দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল প্লাস্টিক কারখানা!
অগ্নিকাণ্ড দক্ষিণদাঁড়িতে, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2021 | 12:02 PM
Share

কলকাতা: সকাল থেকেই এলাকাজুড়ে বেশ পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছিলেন অনেকে। ঠিক কী হয়েছে বোঝার আগেই এলাকাবাসী দেখেন এলাকারই প্লাস্টিক প্রিন্টিং কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে শুরু করেছে। আচমকাই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে (Fire Accident) কারখানাটি। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে প্রথমে ৩টি দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণদাঁড়ির।

স্থানীয় ও দমকল সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে আচমকা প্লাস্টিক প্রিন্টিং কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। মুহূ্র্তেই কালো ধোঁয়া আর পোড়া গন্ধে ভরে যায় এলাকা। কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন (fire)। দ্রুত, কারখানার আশেপাশের বাসিন্দাদের বের করে আনা হয়। মূলত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে অনুমান দমকলের।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে প্রথমে পৌঁছয় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। পরে আগুন দ্রুত  নেভাতে আরও  ৩টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। দমকলের এক ঘণ্টার ম্যারাথন চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় লেকটাউন থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই কারখানায় যেহেতু প্লাস্টিক প্রিন্ট করা হত, তাই প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত ছিল। সেখান থেকেই মূলত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে দমকলের তত্‍পরতায় অতি দ্রুত এই অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পান এলাকাবাসী।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর টিঙ্কু রাহা বলেন, “এই এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। ছোট জায়গায় প্রচুর লোকের বাস। আজ একটা বড়সড় দুর্ঘটনা হতে পারত। অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া গেল।” ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের আরও অভিযোগ, দক্ষিণদাঁড়ির মতো ঘিঞ্জি এলাকায় কেন প্লাস্টিক প্রিন্টিং কারখানা করা হবে তা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। তবে কারখানার মালিক কোনও অভিযোগও মানতে চাননি। এমনকী, ওই কারখানায় যথোপযুক্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না বলেই অভিযোগ এলাকাবাসীর। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে লেকটাউন থানার পুলিশ। একইসঙ্গে কারখানার মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

কিছুদিন আগে সাঁকরাইলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি চিপস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গিয়েছিল। মোট ১৭ টি ইঞ্জিনের ১২ ঘণ্টার ম্যারাথন প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কমিশনিং ছাড়াই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে সাঁকরাইলের চিপস কারখানায় চলছিল চিপস তৈরির কাজ। কেন আগুন (Fire Accident) লাগল, কীভাবে তা ছড়াল সবটাই ফরেন্সিক তদন্ত হবে বলে জানান দমকল অধিকর্তা অভিজিত্‍ পাণ্ডে।

আরও পড়ুন: TMC: ‘গোঁজ প্রার্থী দিলে চামড়া গুটিয়ে নেব’, হুঁশিয়ারি বনগাঁর তৃণমূল সভানেত্রীর