মধ্যরাতে আচমকা বিস্ফোরণের শব্দ, ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত ৫০টি ঝুপড়ি

কেষ্টপুরের শতরূপা পল্লীতে আগুন লাগে রাত ২টোর পর। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

মধ্যরাতে আচমকা বিস্ফোরণের শব্দ, ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত ৫০টি ঝুপড়ি
কেষ্টপুরে আগুন। ছবি- রাজ ঘোষাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2021 | 8:14 AM

কেষ্টপুর: শহরের উপকন্ঠে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মধ্যরাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে তখন আচমকা বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙে কেষ্টপুরের শতরূপা পল্লীর বাসিন্দাদের। তারপর দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে রাত পার হলেও সকালেও ঝুপড়ির জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। রাতে আগুন নেভাতে এসে দুই দমকলকর্মীর হাত ঝলসে গিয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

ওই ঝুপড়িতে ছিল একাধিক খাবারের দোকান, সাইকেলের গ্যারেজ। এ ছাড়া বেশ কয়েকটুি ঝুপড়িতে ছিল মানুষের বাস। রাত ২টোর পর আচমকা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান কিছু বাসিন্দা। কোনও একটি খাবারের দোকানে সিলিন্ডার ফেটেই ওই শব্দ শোনা গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। এরপরই গোটা ঝুপড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেন বাসিন্দারা। প্রথমে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। পরে একে একে মোট ১৫টি ইঞ্জিন পাঠানো হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। পাঠানো হয় রোবটও। আগুন নেভানোর সময় সিলিন্ডার ফেটেই জখম হন দুই দমকলকর্মী। তাঁদের দুই হাত আগুনে ঝলসে গিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক অনুমান সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরেই আগুন লাগে।

অন্তত ৫০টি ঝুপড়ি ছিল এই শতরূপা পল্লীতে। আগুনে সেগুলি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঝুপড়িতে থাকা সাইকেলের দোকানে বেশ কিছু সাইকেল রাখা ছিল, আগুনে সেগুলি পুড়ে ছাই। আসবাবপত্রের দোকান, চায়ের স্টল এবং সেলুন কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়ে্ছে। কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন তাঁদের আলমারিতে থাকা বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্রও পুড়ে গিয়েছে। তবে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সকলেই বেরিয়ে আসেন, ফলে কেউ আহত হননি।

পুড়ে ছাই কেষ্টপুরের একাধিক ঝুপড়ি

রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক মানুষের দোকান ছিল, সেগুলো পুড়ে গিয়েছে। আমি বলেছি তালিকা তৈরি করে দিতে। তবে কেউ হতাহত হননি। সিলিন্ডার ফেটেছে, অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে পারত।’ আরও পড়ুন: দিল্লি যাওয়ার আগেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন মমতা, নেওয়া হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত!