Firhad Hakim: ‘আমি কি চোর?’, সিবিআই বেরোতেই সাংবাদিক সম্মেলন ফিরহাদের
Firhad Hakim: ফিরহাদ বলেন, "আজ আমার ভাইয়ের শ্রাদ্ধ। আমাকে যেতে দেওয়া হল না। কী অপরাধ করেছি? মানুষের পাশে যে কোনও সময় দাঁড়িয়েছি, সেটাই অপরাধ। বারবার কেন হেনস্থা করা হচ্ছে? আইন অনুযায়ী, পুরমন্ত্রীর পুরনিয়োগের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে?"
কলকাতা: সিবিআই বেরোতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ফিরহাদ হাকিম। আর সেই সাংবাদিক বৈঠকে কখনও চোখ ছলছল ফিরহাদের, কখনও চূড়ান্ত ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলকাতার মেয়র। রবিবার সন্ধ্যায় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিমকে পাশে বসিয়ে ফিরহাদ প্রশ্ন করেন, “আমি কি চোর? বারবার আমাকে, আমার পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে।” ফিরহাদ বলেন, কখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, কখনও দিনভর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলছে।
ফিরহাদ বলেন, “আজ আমার ভাইয়ের শ্রাদ্ধ। আমাকে যেতে দেওয়া হল না। কী অপরাধ করেছি? মানুষের পাশে যে কোনও সময় দাঁড়িয়েছি, সেটাই অপরাধ। বারবার কেন হেনস্থা করা হচ্ছে? আইন অনুযায়ী, পুরমন্ত্রীর পুরনিয়োগের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে? পুরনিয়োগের কোনও ফাইল পুরমন্ত্রীর কাছে আসে? না আইন অনুযায়ী হয়, না প্রসিডিওর অনুযায়ী হয়। কেন এটা করা হচ্ছে?”
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই আধিকারিকরা। ৯ ঘণ্টা ৪২ মিনিট পর চেতলায় ফিরহাদের বাড়ি থেকে বেরোয় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এদিন মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রবিবার সকাল ৯টা ১৪ নাগাদ ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে আসে সিবিআইয়ের একটি দল। সাড়ে ৬টা নাগাদ তারা বেরোয়। সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে দিয়ে বেশ কিছু নথির সত্যতা যাচাইও করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, পুরনিয়োগের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে ফিরহাদ অবগত, কোন কোন ফাইল তিনি সই করেছেন। ফিরহাদের পরিবার সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের সমস্ত প্রশ্নের জবাবই দিয়েছেন ফিরহাদ।
এদিন সিবিআইয়ের ৬ সদস্যর প্রতিনিধি দল চেতলার বাড়িতে যান। তিনজন ফিরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে সূত্রের খবর। বাকিরা তথ্য়তালাশ করেন। সিবিআই বেরিয়ে যেতেই সাংবাদিক সম্মেলনে সুর চড়ান ফিরহাদ। বলেন, ২৫ বছর ধরে চেতলার কাউন্সিলর তিনি। কেউ কোনওদিন যদি বলে ববি হাকিমকে একটা পয়সা দিয়েছেন, পদ ছেড়ে চলে যাবেন তিনি। সিবিআই বেরিয়ে যেতেই ক্ষোভ উগরে ফিরহাদ বলেন, “পাপ করেছি মানুষের সেবা করে। সবসময় রিলেটেড কেস রিলেটেড কেস বলে। কীসের রিলেটেড কেস?”
ফিরহাদের কথায়, “একবার নারদা হল, ভাবলাম আদালতে বিচার পাব। সেখানে একতরফা বিচার হয়েছে, তাই কোনওদিনই বিচার পাব না। রাজীব গান্ধীর মতো হবে। বোফোর্সে তিনি যেমন পরে ক্লিনচিট পেয়েছেন, আমিও হয়ত মৃত্যুর পর আমি পাব। কিন্তু এখানে তো আমার পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে।” বিজেপি জেলে রাখুক, যেন অপমান না করে, মন্তব্য ফিরহাদের।