Firing: ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য, আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার সময় চলন্ত বাইক থেকে ব্যক্তিকে গুলি
গুলিচালনার ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বজবজ থানার পুলিশ বাহিনী। পরিদর্শনে আসেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বজবজ: ভরদুপুরে প্রকাশ্যে চলল গুলি (Firing)। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বজবজ (Budge budge) ট্রাঙ্ক রোডে। যদিও কারা, কেন ওই ব্যক্তিকে গুলি করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এদিন রাতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুরানো কোনও শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জখম ব্যক্তির নাম শেখ হুলতাল। এদিন দুপুরে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে কচ বেলতলার মোড়ের কাছে হুলতালকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় শেখ সাইফুদ্দিন ওরফে আফ্রিদি নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাকদ্বীপ থেকে আফ্রিদিকে গ্রেফতার করেছে বজবজ থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বজবজ থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সালের একটি খুনের মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন শেখ হুলতাল। এদিন আলিপুর জর্জেস কোর্টে সেই মামলায় সাক্ষী দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন হুলতাল। মোটরবাইকে বজবজের দিক থেকে চড়িয়ালের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কচ বেলতলার মোড়ের কাছে বাইক নিয়ে দুই দুষ্কৃতী বজবজের দিক থেকে এসে গুলি করে শেখ হুলতালকে। গুলিবিদ্ধ হুলতাল মোটরবাইক নিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বজবজ থানার পুলিশ। পুলিশই শেখ হুলতালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন হুলতাল।
অন্যদিকে, গুলিচালনার ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বজবজ থানার পুলিশ বাহিনী। পরিদর্শনে আসেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এদিন সন্ধ্যায় এই ঘটনায় কাকদ্বীপ থেকে আফ্রিদিকে গ্রেফতার করে বজবজ থানার পুলিশ। হুলতাল যে মামলার সাক্ষ্য দিয়ে আসছিলেন, সেই মামলার সঙ্গে তাঁর উপর হামলার কোনও যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বজবজ থানার পুলিশ জানিয়েছে।