Kamduni Case: জেল থেকে বেরল কামদুনির ৪ জন, খবর পেয়েই কেঁদে ভাসালেন টুম্পা-মৌসুমীরা

Kamduni Case: একদিকে যখন প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে চারজনের মুক্তি মিলল, তখন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়ালরা দেখা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। কামদুনি মামলা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারকে আইনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

Kamduni Case: জেল থেকে বেরল কামদুনির ৪ জন, খবর পেয়েই কেঁদে ভাসালেন টুম্পা-মৌসুমীরা
রাতেই জেলমুক্তি চারজনের, কান্নায় ভেঙে পড়লেন টুম্পা-মৌসুমীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2023 | 10:55 PM

কলকাতা: কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। সোমবার রাতেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে চারজন। নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা পাওয়া আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করেছে হাইকোর্ট। এছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পাওয়া আরও তিনজনের আজ রাতে জেলমুক্তি হয়েছে। একদিকে যখন প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে চারজনের মুক্তি মিলল, তখন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়ালরা দেখা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। কামদুনি মামলা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারকে আইনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদী মুখ টুম্পা-মৌসুমীরা যাতে সুপ্রিম কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তার জন্য আদালতে আবেদন করেন, সেই কথাও বলেন বিরোধী দলনেতা। তবে যতদিন না সেটা হচ্ছে, ততদিন নিগৃহীতার পরিবার ও প্রতিবাদী মুখদের জন্য বেসরকারি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চান শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, “ওদের সঙ্গে কথা বলে, ওরা যেমন চাইবে, তেমন সাহায্য করব। তবে এটি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা ওদের নিরাপত্তার জন্য আদালতে আবেদন জানাতে বলব।”

প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফে কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আবদেন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়েছে, কামদুনিকাণ্ডে ওই চারজন জেল থেকে মুক্তি পেলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। যদিও শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, “গোটাটাই লোক দেখানো। এসব করে লাভ নেই। এখানে (হাইকোর্টে) ১৫জন সরকারি আইনজীবী বদল করা হয়েছে। রাজ্য সরকার, সরকারি আইনজীবী ও সিআইডি যদি ঠিকঠাকভাবে লড়ত, তাহলে হয়ত এই রায় হত না।”

এদিকে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আজও কেঁদে ভাসালেন মৌসুমী, টুম্পারা। কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “দোষীরা ছাড়া পেয়ে গিয়েছে আজ। সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা আজ উকিলের জন্য এখানে এসেছিলাম। এখানে এসে জানতে পারলাম, চারজনকে ছেড়ে দিয়েছে। রাজ্য প্রশাসন ও সিআইডি কিছু করতে পারল না।”

বেসরকারি নিরাপত্তার প্রসঙ্গে টুম্পা কয়াল জানালেন, “শুভেন্দুবাবু এই কথা বলেছেন ঠিকই। কিন্তু আমাদের কোনও নিরাপত্তা দরকার নেই। আমাদের প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা লড়াই করে যাব।”