চিনারপার্কের হোটেলে দু’দিন, শহরে কি জাল বিছিয়েছিল গ্যাংস্টার ভুল্লাররা? চাঞ্চল্যকর তথ্য তদন্তে
Newtown Encounter: সূত্রের খবর, ভরত কুমারদের সঙ্গে নিয়ে ভুল্লারদের গ্বালিয়র থেকে সাপুরজির আবাসনে এনকাউন্টার পর্যন্ত ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে।
কলকাতা: গ্বালিয়র থেকে সড়ক পথে কলকাতা। শহরে পৌঁছে চিনারপার্কে পাঁচতারা হোটেলে পার্টি। এরপর সাপুরজির আবাসনে ভাড়াটে হিসাবে ওঠা। পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীতের কলকাতাযোগের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে উঠে আসছে তদন্তকারীদের।
জয়পাল সিং ভুল্লার, যশপ্রীত ও তাদের সঙ্গী ভরত কুমার ১৯ জুন কলকাতায় এসে পৌঁছে ছিলেন। এর পর কোথায় গিয়েছিলেন তাঁরা? সাপুরজিতে ডেরা বাঁধার আগে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন? কাদের সঙ্গে দেখা করে পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার? তদন্তে পুলিশ বেশ কয়েকটি সূত্র পেয়েছে।
১৯ মে কলকাতায় পা রাখেন জয়পাল ও যশপ্রীত। সঙ্গী ভরত কুমার। এরপরই চিনারপার্কের অভিজাত একটি হোটেল ভাড়া নেন তাঁরা। রুম নম্বর ২০৩। আপাতত সে ঘর সিল করে দিয়েছে পুলিশ। ১৯ তারিখ রাতে বিমানে কলকাতা পৌঁছে সে হোটেলেই উঠেছিলেন ভরতের বাঙালি স্ত্রীও।
ভরতের বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের জন্য এই বুকিং করা হয়েছিল। বুকিং হয় ভরতের স্ত্রীর নামে। ১৯ ও ২০ মে বুকিং ছিল তাঁদের। জন্মদিনের পার্টিতে বেশ কয়েকজন নিমন্ত্রিতও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কারা, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ২২ মে চিংড়িঘাটার একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে হ্যান্ডসেট কেনেন ভুল্লার। রাজারহাটের বিষ্ণুপুর বটতলার একটি দোকান থেকে সিমও কেনেন। যে দোকানটি আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
কলকাতায় কাদের সঙ্গে ভরত, জয়পালদের যোগাযোগ, শহরে এই গ্যাংস্টারদের শিকড় কত দূর ছড়িয়েছে তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। সোমবারই পঞ্জাবে গিয়েছে বাংলার এসটিএফ ও বিধাননগর পুলিশের একটি বিশেষ দল। ভরত কুমার ও সুমিত কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা।
আরও পড়ুন: কোনও ‘গদ্দারের’ দলে স্থান নেই, নাম না করেই সব্যসাচী দত্তের এলাকায় পড়ল পোস্টার
সূত্রের খবর, ভরত কুমারদের সঙ্গে নিয়ে ভুল্লারদের গ্বালিয়র থেকে সাপুরজির আবাসনে এনকাউন্টার পর্যন্ত ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে। একই সঙ্গে ভরত কুমারের চক্রে কলকাতায় আর কে কে রয়েছে তার খোঁজও চলছে। ভরত কুমার, সুমিত কুমাররা যে ভাবে ভুল্লারদের সহযোগিতা করেছিল, একই ভাবে নিশ্চয়ই তারা আরও গ্যাংকে সহযোগিতা করেছে আগেও। অর্থাৎ কলকাতায় এরকম গ্যাংস্টারদের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। ধীরে ধীরে সে সমস্তই সামনে আসবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পুলিশ কয়েকটি নাম জানতে পেরেছে। যারা কলকাতায় ব্যবসায়ী সেজে রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই ভরত কুমার বাংলার নম্বরপ্লেটের একটি পুরনো গাড়ি কিনেছিলেন। যে গাড়ি ব্যবহার করে গ্বালিয়র থেকে কলকাতায় আসেন এবং ভুল্লারদের আশ্রয় নিশ্চিত করে ফের পঞ্জাবে ফিরেও যান। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যান পুলিশের হাতে।