Garden Reach Building Collapse: সব প্রশ্নে ঘাড় নেড়ে ‘না’, প্রোমোটারের বুলি শুধু ‘ইঞ্জিনিয়ার জানত’
Kolkata Building Collapse: ১ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশের ঘেরাটোপেই রাখা হবে এই প্রোমোটার। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক। এদিকে আজ যখন আদালত থেকে ধৃত প্রোমোটারকে বের করা হচ্ছিল, তখন সংবাদমাধ্যমের সব প্রশ্নের উত্তরে মুখ বন্ধ। ঘাড় নেড়ে সবেতেই জবাব 'না'। শুধু একটাই কথা আজ প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের মুখে, 'ইঞ্জিনিয়ার জানতো।'
কলকাতা: গার্ডেনরিচের বিল্ডিং বিপর্যয়ের ঘটনায় ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ১ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশের ঘেরাটোপেই রাখা হবে এই প্রোমোটার। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক। এদিকে আজ যখন আদালত থেকে ধৃত প্রোমোটারকে বের করা হচ্ছিল, তখন সংবাদমাধ্যমের সব প্রশ্নের উত্তরে মুখ বন্ধ। ঘাড় নেড়ে সবেতেই জবাব ‘না’। শুধু একটাই কথা আজ প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের মুখে, ‘ইঞ্জিনিয়ার জানত।’
উল্লেখ্য, গার্ডেনরিচের বিল্ডিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় পুলিশি তদন্ত শুরু হতেই অভিমুখ পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের দিকেই। এদিন আলিপুর আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, ৪ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের থানেতে এর থেকেও ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে ৭৪ জনের প্রাণ গিয়েছিল, বাড়ি চাপা পড়ে। ওই ঘটনায় মিউনিসিপ্যাল কমিশনার-সহ ৯ জন পুরসভার অফিসার গ্রেফতার হয়েছিলেন। এক্ষেত্রেও একজনের পক্ষে পাঁচ তলা বাড়ি তৈরি করা সম্ভব নয় বলেই যুক্তি সরকারি আইনজীবীর। সেক্ষেত্রে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কে কে যুক্ত আছে, তা তদন্ত করে দেখার জন্য ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন জানানো হয়। সব দিক বিবেচনা করে বিচারক অভিযুক্তর ১ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
রবিবার গভীর রাতে আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গার্ডেনরিচের ওই নির্মীয়মাণ পাঁচতলা বিল্ডিং। এক ভয়ঙ্কর বীভীষিকাময় পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয় কাউন্সিলরই বা কী করছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন বিরোধীদের।