Rajbhavan: আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে নীরব দর্শক হয়ে থাকবেন না রাজ্যপাল, নিশীথকাণ্ডে কড়া বার্তা রাজভবনের

নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে শনিবারের হামলার ঘটনায় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস।

Rajbhavan: আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে নীরব দর্শক হয়ে থাকবেন না রাজ্যপাল, নিশীথকাণ্ডে কড়া বার্তা রাজভবনের
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 26, 2023 | 8:16 PM

কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় এবার কড়া রাজভবন। নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে শনিবারের হামলার ঘটনায় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে রাজ্যপাল আনন্দ বোস স্পষ্টত জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে তিনি চুপ থাকবেন না। তিনি আরও বলেন, “প্রতিবাদ গণতন্ত্রের অংশ কিন্তু হিংসা নিয়ম-বিরুদ্ধ।” তাই কোনভাবে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি মেনে নেবেন না। অবিলম্বে নিশীথ প্রামাণিকের হামলার ঘটনার পুঙ্খানিপুঙ্খ রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

এদিন রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়ের উপর হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা জানানো হয়েছে। এটা ‘গণতন্ত্রের উপর হামলা’ বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “যে ভূমি সভ্যতা এবং সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত, সেই রাজ্যে এই ধরনের ঘটনায় আমি মর্মাহত। প্রতিবাদ নিশ্চিতভাবে গণতন্ত্রের এক জরুরি শর্ত। কিন্তু হিংসা কোনও সভ্য সমাজের নিদর্শন নয়।” গোটা ঘটনাটি নিয়ে রাজ্যপাল ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও রাজভবনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস এদিনের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৩৫৬ ধারা লাগু করার জন্য অনেকেই তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কোনও গাফিলতি হলে বরদাস্ত করা হবে না জানিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি রাজ্যপালের কড়া বার্তা, “ম্যাজিস্ট্রেট হোক বা পুলিশ, ভয় না পেয়ে তাদের করণীয় কর্তব্য পালন করুক। গোপন তদন্ত করুক। সমাজবিরোধী, যারা আইন হস্তগত করতে চাইছে , তাদের কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হবে এবং হিংসার শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে।”

এদিন রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারির পরই বিষয়টি নিয়ে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন থেকে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির জন্য বিজেপি নেতাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শান্তনু সেন। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারাই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে-ঘুরে উসকানিমূলক মন্তব্য দিচ্ছেন। তাঁরাই রাজ্যের শান্তির বাতাবারণ নষ্ট করে অশান্তির বাতাবরণ ছড়াচ্ছে। আবার আরও একধাপ এগিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, রাজ্যপালের বিবৃতিতে সম্মান দিয়ে বলি লিখছেন confidential enquiry মানে কি? কোন তথ্য! স্থানীয় মানুষদের কথা তো শুনলেন না। উনি বলছেন পার্শোনালি ডিসকাশ! কেন কাদের সঙ্গে করছেন? ঠিকঠাক তদন্ত করুন। আশা করব রাজ্যপাল বিজেপি দূতে পরিবর্তন হবেন না, রাষ্ট্রপতি দূতেই থাকবেন।  কুণালের আরও দাবি, বাংলায় ৩৫৬ করতে হলে গোটা দেশের অর্ধেক সরকার ফেলে দিতে হবে।

অন্যদিকে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে এবং ৩৫৬ ধারা লাগু করার ব্যাপারে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যপালের এদিনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, শনিবার দিনহাটায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার ঘটনার পরই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনার উল্লেখ করে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু।