Murder Case: তিনদিন ধরে জ্বলেনি আলো, পচা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে ফোন করতেই কাটল রহস্যের জট

Murder Case: দিদিমাকে খুনে অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন নাতি। ব্যাপক চাঞ্চল্য বেহালায়। সূত্রের খবর, বুধবার অভিষেকদের বাড়িতে তুমুল অশান্তি হয়। তখনই মা পদ্মা দাসকে (৫৩) চেয়ার দিয়ে মাথায় মারেন অভিষেক। দিদিমা বাঁচাতে এলে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তাতেই মৃত্যু হয় ৯৫ বছরের পুষ্পা দাসের।

Murder Case: তিনদিন ধরে জ্বলেনি আলো, পচা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে ফোন করতেই কাটল রহস্যের জট
ব্যাপক চাঞ্চল্য বেহালায়Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2023 | 7:43 PM

বেহালা: তিনদিন আগে শেষবার আলো জ্বলেছিল বাড়িতে। সেদিনই বাড়ি থেকে বিস্তর চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ শুনেছিলেন প্রতিবেশীরা। তারপর থেকে সব চুপচাপ। এরইমধ্যে এদিন বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। তাতেই মনে যেন কিসের একটা সন্দেহ হতে থাকে এলাকার বাসিন্দাদের। কিছু যে একটা হয়েছে তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয় এলাকায়। খবর যায় পুলিশে। খবর দেওয়া হয় লোকাল পার্টি অফিসে। সকলে মিলে বাড়িতে ঢুকেই দেখা গেল ঘরে মরে পড়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধা। অভিযোগ, তাঁকে খুন করেছেন তাঁর নাতি অভিষেক দাস। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে বেহালার চণ্ডীতলা এলাকায়। 

এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অভিষেক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন থেকেই নানারকম অদ্ভুত কাজ করত এলাকায়। হাতে কাটারির মতো ধারালো অস্ত্র নিয়েও ঘুরে বেড়াত। তাঁর ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত এলাকার লোকজন। সূত্রের খবর, বুধবার অভিষেকদের বাড়িতে তুমুল অশান্তি হয়। তখনই মা পদ্মা দাসকে (৫৩) চেয়ার দিয়ে মাথায় মারেন অভিষেক। দিদিমা বাঁচাতে এলে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তাতেই মৃত্যু হয় ৯৫ বছরের পুষ্পা দাসের। 

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হননি অভিষেক। তা দেখেও সন্দেহ হয়েছিল এলাকার বাসিন্দাদের। শেষে পুলিশ আসতেই বেরিয়ে এল আসল রহস্য। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা অন্নপূর্ণা ভট্টাচার্য বলেন, “পরশুদিন ওদের বাড়ি থেকে মারামারি, চিৎকারের শব্দ পাওয়া যায়। তারপর থেকেই সব চুপচাপ ছিল। এমনকী রাতে বাড়িতে আলোও জ্বলতে দেখা যায়নি। তা দেখেই সকলের সন্দেহ হয়। আজ হঠাৎ বাড়ি থেকে গন্ধ বের হয়। তারপরই লোকাল পার্টি অফিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসে। এসে দেখে এই অবস্থা। বাড়িতে তো শুধু মা, দিদিমা আর নাতি থাকত। নাতিই মেরে ফেলেছে ঠাকুমাকে। মাকেও মারধর করেছে। ছেলেটা আসলে মানসিক রোগী। প্রায়শই রড, কাটারি নিয়ে পাঁচিলের উপর দাঁড়িয়ে থাকত। লোকজন তো গলি দিয়ে ভয়ে যেতে পারত না। মাঝে সব চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। তারপর আবার ঘটে গেল এই ঘটনা।”