HC On CBI: ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র, ৪-৫ জন জড়িত…’, মৃত্যুর পর তাপস সাহার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে চায় সিবিআই
HC On CBI: উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, তাপস সাহাকে এখনই গ্রেফতারির প্রয়োজন নেই। তদন্তকারী অফিসারের উদ্দেশে বলা হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার সুযোগ রয়েছে! রাজ্য এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়।

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম থাকা তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মামলায় তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, “তদন্তকারী অফিসারের তথ্য সরবরাহ করতে সমস্যা কোথায়? আপনি একজন তদন্তকারী অফিসার। আপনি কীভাবে বলতে পারেন আমিই তদন্ত করব, সিবিআই কে দেব না?”
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাপসের বিরুদ্ধে। এই মামলায় আগেও তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। পাঁচ দিন আগে হঠাৎই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন বিধায়ক, তারপরই মৃত্যু। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপস সাহা সংক্রান্ত মামলার রাজ্যের তদন্তকারী অফিসার হলেন অ্যান্টিকোরাপশন ব্রাঞ্চের অফিসার অনুপম দাস। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই-কে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, তাপস সাহাকে এখনই গ্রেফতারির প্রয়োজন নেই। তদন্তকারী অফিসারের উদ্দেশে বলা হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার সুযোগ রয়েছে! রাজ্য এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ওঠে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী জানান, তাপস সাহা মামালায় রাজ্যের তদন্তকারী অফিসারের তরফে সিবিআই-এর হাতে সমস্ত তথ্য এসে পৌঁছয়নি।
সিবিআই আদালতে জানায়, বিধায়ক তাপস সাহার মৃত্যুর পরেও তদন্ত চালিয়ে যেতে চায় তারা। এরপরই এই মামলায় কেস ডায়েরি-সহ যাবতীয় তথ্য সিবিআইকে দেওয়ার জন্য তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী রাজ্যের তদন্তকারী অফিসারের উদ্দেশে বলেন, “আপনি আদালতের দারস্থ হয়েছেন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতির মন্তব্যের বিরুদ্ধে। তাই দ্রুত যাবতীয় তথ্য দিতেই হবে।” বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “আপনাদের তথ্য সরবরাহ করতে সমস্যা কোথায়? আপনি একজন তদন্তকারী অফিসার। আপনি কীভাবে বলতে পারেন আমার কাছেই তদন্ত থাকবে, সিবিআই কে দেব না!”
সিবিআই-এর তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়, “তাপস সাহা ছাড়াও অনেকে জড়িত। এটা বৃহৎ ষড়যন্ত্র। কেস ডায়েরি-সহ বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন রয়েছে।”
রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, “আমাদের তিন চারদিন সময় লাগবে। আমরা তথ্য দিয়ে দেব।” এদিন আদালতে সিবিআই রিপোর্ট দিয়ে জানায়, কয়েক কোটি টাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। চার পাঁচ জন জড়িত।

