Mukul Roy: দল পরিবর্তনই করেননি বিধায়ক, বোঝালেন মুকুলের আইনজীবী, ১ ঘণ্টা ধরে চলল দলত্যাগ শুনানি
Mukul Roy: দলত্যাগ নিয়ে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিরোধী বিধায়করা। তার ভিত্তিতেই বিধানসভায় চলছে শুনানি।
কলকাতা : শুক্রবার দীর্ঘ সময় ধরে চলল মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। তাতেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। আগামী শুক্রবার, মকর সংক্রান্তির দিন ফের মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত শুনানি হবে।
শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে এক ঘণ্টার শুনানি চলে। এই মামলায় এর আগে এত বেশিক্ষণের শুনানি চলেনি। এ দিন মুকুল রায়ের তরফে তাঁর আইনজীবীরা বোঝানোর চেষ্টা করেন, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক দল পরিবর্তনই করেননি। এমনকি, বিজেপিও মুকুলকে সাসপেন্ড করেনি বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী। পাল্টা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ছবি ব্যবহার করে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা বোঝানোর চেষ্টা করেন, যে গত ১১ জুন তৃণমূল ভবনে মুকুল ঘাসফুলে নাম লেখান। যুক্তি পাল্টা যুক্তিতেই মুকুল দলত্যাগ মামলার শুনানি শেষ হয় এদিন। ১৪ জানুয়ারি, আগামী শুক্রবার চূড়ান্ত শুনানি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুযুধান দুই শিবিরের আইনজীবীরা।
মুকুল রায় পিএসসি চেয়ারম্যান থাকবেন কি না, সে বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে বলে ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজনীতির কারবারিদের মতে, সুপ্রিম কোর্টে অধ্যক্ষকে ১৭ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। ফলে মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ে ১৪ জানুয়ারি হয়ত কোনও দিক নির্দেশ করতে পারেন স্পিকার।
১১ জানুয়ারি তৃণমূলে নাম লেখান কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তারপরেই দিন কয়েকের ব্যবধানে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে ৬৪ পাতার পিটিশন দাখিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত তা বিধানসভার অধ্যক্ষকেই নিতে হবে। অধ্যক্ষ দ্রুত যাতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন, সে কথাই বলা হয়।
অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্টের কোনও নির্দেশিকা থাকে তা আমরা নিশ্চয়ই মেনে চলব। এটা তো খুব স্বাভাবিক কথা। আইনের বিচার প্রক্রিয়াকে আমরা সব সময় মর্যাদা দিই। সম্মান করি। নতুন করে বলার কিছু নেই। যে পিটিশনটা ফাইল হয়েছে ওর (মুকুল রায়) সদস্যপদ খারিজ করার জন্য, সেটা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখছি।”
আরও পড়ুন : Paracetamol: করোনা বাড়তেই বাজার থেকে ‘উধাও’ প্যারাসিটামল, জোগানের অভাবে বিপাকে ক্রেতারা
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর বিধানসভায় এই সংক্রান্ত শুনানি হয়, যেখানে মুকুল রায় হাজির ছিলেন না। সূত্রের খবর, সেদিনের শুনানিতে মুকুল রায়ের আইনজীবী সায়ন্তক দাস অধ্যক্ষকে জানান, মুকুল রায় কোনও দিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগই দেননি। আজ ফের সে কথাই বোঝানো হয়েছে।