AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: ‘যে কোনও করদাতা ভাতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতেই পারেন’, হাইকোর্টে সওয়াল শামিমের

Calcutta High Court: রাজ্য এদিন মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের বক্তব্য, ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে মামলাকারীদের কী স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে?

Calcutta High Court: 'যে কোনও করদাতা ভাতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতেই পারেন', হাইকোর্টে সওয়াল শামিমের
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2025 | 1:58 PM
Share

কলকাতা: চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের যথাক্রমে ২০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার শেষ হল সেই মামলার শুনানি। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।

মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এদিন সওয়াল করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ওই কর্মীদের। সেই নির্দেশের অন্য মানে করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আইনজীবীর বক্তব্য, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ রয়েছে, এমন বিষয়ে আইনসভা বিপরীত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

অন্যদিকে, রাজ্য এদিন মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের বক্তব্য, ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে মামলাকারীদের কী স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে? তাঁরা কেন ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবেন? জবাবে আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের যুক্তি, কর দেন এমন যে কোনও নাগরিকরা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। জনগণের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে তা জানার অধিকার সবার রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ফলে মামলাকারীদের স্বার্থও জড়িত।

দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে শুনানি শেষ করেন দেন বিচারপতি সিনহা। এর আগে এই মামলার রায় স্থগিত রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

গত ১৫ মে ওই ভাতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রাজ্যের তরফে ভাতা দেওয়ার জন্য ওই প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম, ২০২৫।’ আগের দিনের শুনানিতে এই ভাতা নিয়ে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘যারা এই টাকা পাবেন তাদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে? সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন? বেকারদের জন্য কি রাজ্য এই ধরনের কোনও প্রকল্প চালু করেছে বা চালু করার কথা ভাবছে?’

গত ১ এপ্রিল থেকে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে শুনে বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, কেন এত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?