Higher Secondary: ‘আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে’, মুখ্যমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে বললেন উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ প্রেরণা

Mamata Banerjee: চারিদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগের কথা শুনতে শুনতে প্রেরণারও সেদিন মনে হয়েছিল, 'সর্ষের মধ্যেই ভূত' রয়েছে। সেদিন উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর প্রেরণার সেই বক্তব্য হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছিল নেট দুনিয়ায়। আর আজ রাজ্য সরকারের তরফে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে ২০২৩ সালের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছেন সেই প্রেরণা।

Higher Secondary: ‘আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে’, মুখ্যমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে বললেন উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ প্রেরণা
উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ প্রেরণা দাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2023 | 5:05 PM

কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকে (Higher Secondary) চতুর্থ প্রেরণা পাল (Prerana Pal) সেদিন মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে। শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে, তা নিয়ে হতাশা চেপে রাখতে পারেননি তিনি। নবারুণ ভট্টাচার্যর লেখা ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’ কবিতার প্রসঙ্গ টেনে সেদিন প্রেরণা বলেছিলেন, ‘এই দুর্নীতিযুক্ত রাজ্য আমার রাজ্য হতে পারে না।’ চারিদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগের কথা শুনতে শুনতে প্রেরণারও সেদিন মনে হয়েছিল, ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’ রয়েছে। সেদিন উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর প্রেরণার সেই বক্তব্য হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছিল নেট দুনিয়ায়। আর আজ রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজিত বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে ২০২৩ সালের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছেন সেই প্রেরণা।

সেদিন দুর্নীতির ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন উচ্চ মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানাধিকারী বারাসতের প্রেরণা। আজ সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে প্রেরণা বলছেন, তাঁর সেদিনের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, তিনি নবারুণ ভট্টাচার্যের একটি বিখ্যাত কবিতার লাইনের অনুরণন করেছিলেন। বললেন, ‘আমি কখনও সরাসরি বলিনি, বাংলা আমার রাজ্য নয়। আমার বক্তব্যের একটি ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।’ সেদিন প্রেরণা বলেছিলেন, তিনি গবেষণামূলক ক্ষেত্রে পড়াশোনা করতে চান। তাহলে আগামী দিনে যদি তিনি অধ্যাপনা বা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হতে চান, সেক্ষেত্রে কি বিশ্বাসযোগ্যতা পাচ্ছেন প্রেরণা? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে প্রেরণা অবশ্য স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ‘আশঙ্কার জায়গাটি অমূলক নয়। আমি যদি সুযোগ পাই, বাংলার বাইরে পড়াশোনা বা চাকরি করার, তাহলে অবশ্যই করব। বাংলাতেও যদি উপযুক্ত পরিবেশ পাই, তাহলে বাংলাতেও পড়াশোনা ও চাকরি করব।’

এদিন প্রেরণার বাবাও এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে। তিনিও বলছেন, ‘সাংবিধানিকভাবে যে সরকার গঠিত হয়, তা আমাদের সকলের সরকার। সেই সরকারের ত্রুটি বিচ্যুতি হলে, সেটা নিয়ে বলার অধিকারও প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। তবে রাজ্যে দুর্নীতিমুক্ত একটি নিয়োগ পদ্ধতি থাকত, তাহলে হয়ত আমাদের ছেলেমেয়েদের মনে এতটা আশঙ্কা থাকত না।’