Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Holi at Rabindra Sarobar: পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কীভাবে দোল? ফের বিতর্কে রবীন্দ্র সরোবর

Holi at Rabindra Sarobar: সরোবরের গেটে ঝুলছে দোলের আবহে সরোবর বন্ধের নোটিস। কিন্তু, তারমধ্যেও অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি মিলল কী করে? বিতর্কের মধ্যে ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি কেএমডিএ-র অনুমতি নিয়েই উৎসব হচ্ছে।

Holi at Rabindra Sarobar: পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কীভাবে দোল? ফের বিতর্কে রবীন্দ্র সরোবর
সরোবরে শোরগোল Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2025 | 3:44 PM

কলকাতা: উৎসবের মধ্যে বিতর্ক। রবীন্দ্র সরোবরে দোল ঘিরে চাপানউতোর। ছট থেকে দোল, রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ বাঁচাতে সরোবনের ভিতরে উৎসবে নিষেধজ্ঞা রয়েছে পরিবেশ আদালতের। অভিযোগ, সেই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে সরোবর চত্বরে থাকা একটি অভিজাত ক্লাব ভিতরেই দোল উৎসবের আয়োজন করেছে। তা নিয়ে সকাল থেকে ডামাডোল। অভিযোগ, সকাল থেকেই তারস্বরে বাজানো হচ্ছে সাউন্ড বক্স। তা নিয়ে পরিবেশপ্রেমীরা আপত্তি জানাতেই আয়োজকদের সঙ্গে বচসাও শুরু হয়ে যায়। 

এদিকে সরোবরের গেটে ঝুলছে দোলের আবহে সরোবর বন্ধের নোটিস। কিন্তু, তারমধ্যেও অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি মিলল কী করে? বিতর্কের মধ্যে ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি কেএমডিএ-র অনুমতি নিয়েই উৎসব হচ্ছে। অন্যদিকে গোটা ঘটনার পিছনে কেএমডিএরই এক ইঞ্জিনিয়রের দিকে আঙুল তুলছেন পরিবেশপ্রেমীরা। একজন বলছেন, “জাতীয় পরিবেশ আদালত এখানে সামাজিক অনুষ্ঠান ব্যান করেছে। কিন্তু, ক্লাবের স্বার্থে পরিবেশ বিরোধী কাজ চলছে। আমরা এর ধিক্কার জানাই।” রাজনৈতিক মহলেও তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলছেন, “সবটাই করছেন কেএমডি-র ইঞ্জিনিয়র দীপ্ত রায়চৌধুরী। যিনি দায়িত্ব নিয়ে রবীন্দ্র সরোবরটা শেষ করছেন। ওনাকে যতদিন না সরানো হবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এরপর আমরা ঘেরাও করতে বাধ্য হব।”

যদিও আয়োজকদের তরফে এক প্রতিনিধি বলছেন, “কেউ জলে নামছে না। রঙ ছাড়া ওখানে দোলের আয়োজন করা হয়েছে। ফুল নিয়ে সবাই আসছে। আমরা কেএমডিএ-র নিয়ম মেনেই সবটা করেছি। আমরা নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করিনি।”  

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দেয় কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে না রবীন্দ্র সরোবরে। ফুল, রঙ ইত্যাদি নিয়েও ঢোকা যাবে না। এমডিএ-ও দোলের দিন প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। কিন্তু পরিবেশবিদদের অভিযোগ, সর্বসাধারণের জন্য দরজা বন্ধ থাকলেও। তিনটি ক্লাবকে দেওয়া হয়েছে অনুমতি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন।