AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Husband killed wife: বিছানায় বাবা মাকে খুন করছে, পাশে শুয়ে সব টের পাচ্ছে ছেলে, নাগেরবাজারে হাড়হিম ঘটনা

Husband killed wife in front of son: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃতের পরিবার নাগেরবাজার থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।

Husband killed wife: বিছানায় বাবা মাকে খুন করছে, পাশে শুয়ে সব টের পাচ্ছে ছেলে, নাগেরবাজারে হাড়হিম ঘটনা
বেপাত্তা অভিযুক্ত ব্যক্তিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2025 | 6:58 PM
Share

কলকাতা: পারিবারিক কলহ। গত ২ মাস ধরে আলাদা ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। মনোমালিন্য ভুলে ফের এক ঘুরে ঘুমোনোই কাল হল। ছেলের সামনে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দমদমের নাগেরবাজারের। মৃত মহিলার নাম বিউটি বোস। স্ত্রীকে খুনের পর টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী অমিত বোস। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন মৃতের ৯ বছরের পুত্র।

নাগেরবাজার থানার ছাতাকল এলাকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন ওই দম্পতি। স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে বাড়ির দোতলায় ভাড়ায় থাকতেন অমিত। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। তার জেরে গত ২ মাস স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘুমোতেন না। জানা গিয়েছে, গতকাল পুত্রকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী একঘরে ঘুমোন। ভোরবেলা নাবালকের চিৎকার শুনে সবাই ছুটে আসেন। দেখেন, বিছানায় পড়ে রয়েছেন বিউটি। অমিতের কোনও খোঁজ নেই।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃতের পরিবার নাগেরবাজার থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।

নাবালক পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মাকে খুন হতে দেখেছে নাবালক। শ্বাসরোধ করে বিউটিকে খুন করেন অমিত। সেইসময় বিছানা কাঁপছিল বলে সে জানিয়েছে। সেইসময় তার বাবা বলেছিল, তুই শুয়ে পড়। ভয়ে বিছানায় চুপ করে শুয়েছিল নাবালক। স্ত্রীকে খুনের পর টাকা-পয়সা নিয়ে পালান অমিত। তারপরই চিৎকার করে ওই নাবালক। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

তাপস হালদার নামে মৃতের এক আত্মীয় বলেন, “বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল বিউটির। এর আগেও একবার খুনের চেষ্টা করেছিল। অমিত আগে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করত। বর্তমানে কিছু করত না সে। তার উপর জুয়া খেলত, নেশা করত। অনেক টাকা ধার-দেনা হয়ে গিয়েছিল।”