AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

India Pakistan Conflict, Shelter: মহম্মদ আলি পার্কের সেই জলাধারও আর নেই, যুদ্ধ হলে কলকাতাবাসী লুকোতে পারেন এই-এই জায়গায়

India Pakistan War: বছর ৮০ আগে বোমারু বিমানে যুদ্ধ বিধ্বস্ত হয়েছিল শহর কলকাতা। ম‍্যাঙ্গো লেন, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, খিদিরপুর, হাতিবাগান, বজবজ- সহ একাধিক জায়গায় বোম ফেলেছিল জাপান।

India Pakistan Conflict, Shelter: মহম্মদ আলি পার্কের সেই জলাধারও আর নেই, যুদ্ধ হলে কলকাতাবাসী লুকোতে পারেন এই-এই জায়গায়
কোথায় লুকোবেন?Image Credit: Getty Images
| Edited By: | Updated on: May 08, 2025 | 5:46 PM
Share

কলকাতা: প্রায় আশি বছর আগের কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল কলকাতায়। শহরের একাধিক জায়গা, একাধিক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপর একাত্তরের যুদ্ধ হয়। এরপর আর সেই অর্থে বাংলাকে পোহাতে যুদ্ধের আঁচ। কিন্তু এবার কী হবে? ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের আঁচ পড়েছে কলকাতাতেও। আর তাই সতর্ক প্রশাসন। কিন্তু বর্তমানে শহরে নেই কোনও বাঙ্কারও। এহেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শহরবাসী বাঁচবেন কীভাবে?

বছর ৮০ আগে বোমারু বিমানে যুদ্ধ বিধ্বস্ত হয়েছিল শহর কলকাতা। ম‍্যাঙ্গো লেন, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, খিদিরপুর, হাতিবাগান, বজবজ- সহ একাধিক জায়গায় বোম ফেলেছিল জাপান। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের গান্ধী হাউস, বিবাদি বাগের সেন্ট জনস চার্চ সহ একাধিক ইমারত ব‍্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এখন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর যুদ্ধের ট্রেনিং নেই।

এক সময় মহম্মদ আলি পার্কের জলাধার ব‍্যবহৃত হত বাঙ্কার হিসেবে। এখন তো তারও আর সুযোগ নেই। ব‍্যবহারযোগ‍্য অবস্থাতে নেই শ্রদ্ধানন্দ পার্কের আন্ডারগ্রাউন্ডও। এখন কলকাতাকে একমাত্র বাঁচাতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো। আন্ডার গ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশনগুলো বম্বিংয়ের সময়ে পূরণ করতে পারে বাঙ্কারের কাজ।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? বাংলায় কিছু হলে লুকোবেন কীভাবে?

১. কলকাতার পলিমাটির ৩-৫ মিটার নিচে মেট্রো স্টেশনের ছাদ। বম্বিং হলে ততদূর পৌঁছবে না বিস্ফোরণ।

২. বিস্ফোরণের উত্তাপও পৌঁছবে না মাটির নিচে।

৩. আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোর উপরে মাটির আস্তরণ কুশন এফেক্টের কাজ করবে।

৪. তবে মেট্রোর টানেলের থেকে মেট্রো স্টেশনই বেশি নিরাপদ

পুরনো কলকাতার বিশেষজ্ঞ গৌতম বসু মল্লিক বলেন, “সাইরেন বাজলে সে সময় লুকিয়ে থাকার নির্দেশ থাকত। তখন বাঙ্কার হত। সে সময় কলকাতায় অনেক পুরনো বাড়ি ছিল। সেগুলিতে আর্চ মতো খিলান ছিল। সাইরেন বাজলেই সকলে বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির তলায় লুকিয়ে পড়ত।” ইঞ্জিনিয়ারিং পরিভাষায় গোপীনাথ ভাণ্ডারী বলেন, “আমরা ইতিহাসে যুদ্ধ পড়েছি। কোনও অভিজ্ঞতা নেই। এখন যুদ্ধের পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। এতে আমাদের ভয় পাওয়ার নেই। আমাদের দিকে কম সমস্যা হবে। চিন যদি অ্যাকটিভ হয় তাহলে একটু সমস্যায় পড়তে হবে। আর যদি কিছু ঘটে…কী বলব সাবধানে চলতে হবে। মেট্রোগুলোতেও অ্যালার্ট থাকতে হবে। আমরা ন্যাশানাল হাইওয়েতে কোনও রাস্তার আলো রাখি না। কারণ এটা আক্রমণ করার জায়গা। আন্ডার গ্রাউন্ড মেট্রোতে একটা লুকোনোর জায়গা আছে।”