Damayanti Sen : দময়ন্তী কথা: ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, পাকা রাঁধুনি, লালবাজারে প্রথম মহিলা গোয়েন্দা প্রধান
2012 Park Street Case: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ চার ধর্ষণের মামলার তদন্তে কমিটি গঠন করেছে। আর তার নেতৃত্ব দেবেন দময়ন্তী সেন। মামলার শুনানির সময় হাইকোর্ট বলে, অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেন দময়ন্তী।
কলকাতা : তিনি দুঁদে আইপিএস অফিসার। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। দশ বছর আগে রাজ্যে শোরগোল ফেলা এক গণধর্ষণের মামলার তদন্ত করেছিলেন। আর সেই তদন্ত প্রক্রিয়ার সময়ই রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর ‘সংঘাত’ বাধে। দশ বছর পর চারটি ধর্ষণের মামলায় হাইকোর্ট তাঁর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। আর হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে ফের সংবাদের শিরোনামে আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন।
পড়াশোনা ও পরিবার-
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন দময়ন্তী। দুটোতেই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। তাঁর এক পুত্র রয়েছে। পুলিশের উর্দি খুলে রাখলে একেবারে ঘরোয়া এই দুঁদে আইপিএস অফিসার। ছেলে স্কুলে পড়ার সময় তার স্কুলের পিকনিকে রান্নাও করেছেন। বাংলা সাহিত্য পড়তে ভালবাসেন। আর পছন্দ রবীন্দ্রসংগীত। তবে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কখনও মুখ খুলতে চান না তিনি।
১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার বছর বাহান্নর দময়ন্তী সেন। তিনিই প্রথম মহিলা হিসেবে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হন। তিনি গোয়েন্দা প্রধান থাকাকালীন ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পার্কস্ট্রিটে ৩৭ বছর বয়সি এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার নেন দময়ন্তী সেন। তদন্ত চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণধর্ষণের অভিযোগকে সাজানো ঘটনা বলেন। কিন্তু, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যান দুঁদে এই আইপিএস অফিসার। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই তিনজন দোষীসাব্যস্ত হন।
পার্কস্ট্রিটে গণধর্ষণের ঘটনার ২ মাসের মধ্যে কলকাতা পুলিশ থেকে তাঁকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হয়। ব্যারাকপুরে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে নিযুক্ত হন। সেখান থেকে দার্জিলিংয়ে ডিআইজি রেঞ্জে বদলি করা হয়। তারপর পাঠানো হয় সিআইডি-তে। সেখানে ডিআইজি পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। সাত বছর পর ২০১৯ সালে ফের কলকাতা পুলিশে ফিরিয়ে আনা হয় দময়ন্তীকে। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল(৩) পদে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে তিনি কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার।
পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণের দশ বছর পর রাজ্যে চারটি ধর্ষণের মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকছেন দময়ন্তী। হাইকোর্ট তদন্ত কমিটি গঠনের পরই দময়ন্তীর প্রশংসায় ভরে উঠেছে সোশাল মিডিয়া। অনেকেই পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণে তাঁর নির্ভীক তদন্তের কথা উল্লেখ করেছেন। কেউ লিখেছেন, তিনি আবার স্বমহিমায় ফিরছেন। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনদের অনেকে।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: ডিএনএ টেস্টের জন্য সংগ্রহ করা হল মিহিলালের শরীরের নমুনা, কী তথ্য পেতে চাইছে সিবিআই?