Sabyasachi Dutta Exclusive Interview : মেয়র না হয়ে চেয়ারম্যান হওয়ায় কি আদৌ খুশি সব্যসাচী! ডিমোশন না প্রমোশন!
Sabyasachi Dutta In Kothabarta : বিধাননগর পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পর প্রথম টিভি৯ বাংলা ডিজিটালের এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের মুখোমুখি সব্য়সাচী দত্ত। 'কথাবার্তা' অনুষ্ঠানে সোজাসুজি উত্তর দিলেন বিভিন্ন প্রশ্নের।
কলকাতা : সম্প্রতি বিধানসভা পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। বিজেপিতে যোগদানের আগে তিনি ছিলেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র। দুই বছর ঘুরে তারপর আবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছেন। বিধাননগর পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পর প্রথম টিভি৯ বাংলা ডিজিটালের এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের মুখোমুখি সব্য়সাচী দত্ত। ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে সোজাসুজি উত্তর দিলেন বিভিন্ন প্রশ্নের। অতীতে ছিলেন বিধাননগরের মেয়র। বিধাননগরের মেয়র হিসেবে কৃষ্ণা চক্রবর্তীকেই বেছে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বর্তমানে হলেন বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান। তাহলে কী এটা পদোন্নতি!
পুনরায় মেয়র পদ না পেয়ে নিজের হতাশা বা দুঃখ প্রকাশ করলেন না সব্যসাচী দত্ত। মেয়রের পদ না পাওয়ার দুঃখের মলমও তিনি নিজেই লাগালেন। উল্টে নিজেকে সান্ত্বনাও দিলেন সব্য়সাচী দত্ত। সান্ত্বনা দিতে গিয়ে এই পদ বণ্টনকে পদোন্নতি হিসেবেই দাবি করলেন তিনি। তাঁর এই দাবির পিছনে ব্যাখ্যাও দিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, গুরুত্বের দিক দিয়ে বিচার করলে মেয়র এবং চেয়ারম্যান- দুটি পদই খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন, “একটি পুরনিগমের বোর্ডে দুটি পদই খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং দুজনেরই খুব দায়িত্বপূর্ণ পদ। ”
চেয়ারম্যানের পদের গুরুত্ব বোঝাতে তিনি তাঁর পদের সঙ্গে লোকসভার স্পিকার পদের তুলনাও টানেন। তিনি বলেছেন, “ধরুন লোকসভার স্পিকার এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ। সেরকমই পুরনিগমের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান এবং মেয়র। আমার কাছে এই দুটো এরকমই।” তারপর তিনি জোর দিয়েই বলেছেন মেয়র থেকে চেয়ারম্যান হওয়াটা পদোন্নতিই হয়েছে। তাঁর এই বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন,”গতকাল মাননীয়া কৃষ্ণা দি প্রেস কনফারেন্স করেছেন। তিনি প্রেস রিলিজ় করেছেন। সেখানে প্রথমে চেয়ারম্যানের নাম এবং পরে মেয়রের নাম রয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী যখন পুরবোর্ড গঠন হয় প্রথম চেয়ারম্যানের নাম লিখতে হয় তারপর মেয়রের নাম। যেরকম আমরা বিধানসভায় লিখি, প্রথমে স্পিকার তারপর বিধানসভা নেতা।”