হুগলি: এদিন সন্ধ্যাতেই যে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে তা আগেই জানিয়েছিল আইএসএফ। অবশেষে ঘড়ির কাঁটা সাতটা ছুঁতে না ছুঁতেই আরও পাঁচ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল নওশাদের দল। আইএসএফের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ফুরফুরা শরিফ থেকে দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হল। তবে ডায়মন্ড হারবারে খোদ নওশাদ সিদ্দিকীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা থাকলেও সেখানে মজনু লস্করের নাম সামনে এনেছে দল। তিনি পেশায় আইনজীবী। অন্যদিকে যাদবপুর আসন নিয়ে বামেদের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপোড়েন চললেও শেষ পর্যন্ত সেখানেও প্রার্থী দিল আইএসএফ। যাদবপুরে সিপিএমের টিকিটে লড়ছেন এসএফআইয়ের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। সেখানে আইএসএফের টিকিটে লড়বেন নূর আলম খান। তিনিও পেশায় আইনজীবী।
হেভিওয়েট যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি বালুরঘাট, উলুবেড়িয়া, ব্যারাকপুরের জন্যও এদিন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আইএসএফ। বালুঘাটে লড়ছেন ডঃ মোজাম্মেল হক। এই বালুরঘাটের বর্তমান সাংসদ বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবারে পদ্ম টিকিটে বালুরঘাট থেকে লড়ছেন তিনিই। অন্য়দিকে আইএসএফ-এর টিকিটে উলুবেড়িয়াতে লড়ছেন মফিকুল ইসলাম, ব্যারাকপুরে লড়ছেন জামিল হোসেন।
সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের প্রার্থী ঘোষণা করবে আইএসএফ। এদিকে শ্রীরামপুরের পর যাদবপুরে প্রার্থী দেওয়ায় যে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। যাদবপুরে যে আইএসএফ প্রার্থী দেবে না, সে আশায় ছিলেন সৃজন ভট্টাচার্য নিজেও। অন্যদিকে আইএসএফ আবার শ্রীরামপুর তাঁদের ছাড়ার কথা বলছিল। সেখানে বামেদের টিকিটে লড়ছেন দীপ্সিতা ধর। সূত্রের খবর, এতদিন প্রচারের পর আর সেখান থেকে প্রার্থী তোলা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাম নেতারা। এই শ্রীরামপুরে আইএসএফের টিকিটে লড়ছেন শাহরিয়ার মল্লিক।