কলকাতা : আলিয়ার উপাচার্যকে গালিগালাজ, হেনস্থার ঘটনা এখনও আবছা হয়ে যায়নি শহরবাসীর মন থেকে। কিন্তু এরই মধ্যে ফের একবার কাঠগড়ায় রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠন। সোমবার একটি অডিয়ো টেপ ভাইরাল হয়েছে, যাতে শোনা যাচ্ছে ওই ছাত্রনেতা অন্যজনকে বলছে, “কোন টিচারের কলার ধরতে হবে বলুন।” দাবি করা হচ্ছে, ওই ভাইরাল অডিয়ো টেপটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামাণিক। যদিও এই অডিয়ো টেপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। এদিকে এই অডিয়ো টেপটিতে যাঁর গলা শোনা যাচ্ছে, তা যে সঞ্জীব প্রামাণিকের নয়, এমনটাও নিশ্চিত করে দাবি করতে পারছেন না ছাত্র নেতা নিজেই। তাঁর বক্তব্য, “যে অডিয়ো সামনে এসেছে, তার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। যারাই এই অডিয়ো সামনে নিয়ে আসুক না কেন, এই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব প্রামাণিক নিজের সাফাই দিতে গিয়ে বলেন, “আফসু থেকে যেভাবে পুড়িয়ে মারার কথা হয়েছিল, তা আপনারা সবাই শুনেছেন। তারা এই চিপ পলিটিক্স শুরু করেছে। এসএফআই অস্তিত্ব হারাচ্ছে বলেই আমায় ছোট করার চেষ্টা করছে। অনুস্টুপ চক্রবর্তী যেভাবে আমায় পুড়িয়ে মারার কথা বলেছিল, তারপর এসএফআই রাজ্য নেতৃত্ব তাকে আগলে রাখার চেষ্টা করছে। আমাদের একটাই দোষ, আমরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করি।”
এর পাশাপাশি তৃণমূলের ছাত্র নেতা পাল্টা তোপ দাগেন বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের বিরুদ্ধেও। বলেন, “সিপিএমপন্থী শিক্ষক সংগঠন ক্রমাগত আমাদের ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তাঁদের মনে হয়েছে, যাদবপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই অন্য কোনও ইস্যু নয়, একটা অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে পড়েছে। যাদবপুরে এসএফআইয়ের সোনার সংসার ভেঙে যেতে বসেছে।” তাঁকে যে ফাঁসানো হচ্ছে, তা বোঝাতে গিয়ে সঞ্জীব প্রামাণিক বলেন, “আমি কিছু বিভাগে ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলাম। যখন আমরা এর বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু, তখনও শিক্ষকের একাংশের থেকে চাপ এসেছিল।”
উল্লেখ্য, সোমবার যে অডিয়ো ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে যে কণ্ঠস্বরটি সঞ্জীব প্রামাণিকের বলে দাবি করা হচ্ছে, তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “যাদবপুরের কোন টিচারের কলার ধরতে হবে সঞ্জীব প্রামাণিককে বল। সঞ্জীব প্রামাণিক এত বড় ক্ষমতা রাখে। আমার হিস্ট্রি অনেকেই জানেন না, আমার অ্যাকটিভিটি অনেকেই জানে না। খুব কম লোকেই জানে।”