Jadavpur University: ‘মাকে ধর্ষণের হুমকিও দেয় ওরা…’, ফের যাদবপুরে ‘র্যাগিংয়ের’ শিকার স্নাতকোত্তর পড়ুয়া
Jadavpur University: জানা গিয়েছে, নিগৃহীত ছাত্র ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের পিজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর সঙ্গেও হস্টেলের মধ্যে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। হস্টেলেরই কয়েকজন আবাসিক ছাত্রের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ।

কলকাতা: ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। স্নাতকোত্তরের এক পড়ুয়াকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে। এমনকি তাঁর মাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যাদবপুরের মেইন হস্টেলে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৎপর কর্তৃপক্ষ। তৈরি হয়েছে তদন্ত কমিটি।
জানা গিয়েছে, নিগৃহীত ছাত্র ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের পিজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর সঙ্গেও হস্টেলের মধ্যে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। হস্টেলেরই কয়েকজন আবাসিক ছাত্রের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ।
নিগৃহীত ছাত্রের দাবি তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। যাদবপুরে ‘স্বপ্ন’হত্যা-পর্বের সময় থেকেই সেই সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগকারীর দাবি, তিনি সে সময়ে ফেসবুকে কয়েক জনের নাম নিয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলেন। তাঁরাই সেই ক্ষোভ থেকে নতুন করে নিগ্রহ করেছেন। পুরনো পোস্ট সরিয়ে নতুন করে পোস্ট লেখাতেও বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী র্যাগিংয়ের অভিযোগ উপাচার্য, সহ উপাচার্য, অ্যান্টি র্যাগিং সেলের প্রধান-সহ একাধিক কর্তাব্যক্তিকে মেইল করে জানিয়েছেন। র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎপর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, নিগৃহীত ছাত্রের বয়ান রেকর্ড করবে তদন্ত কমিটি। ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি তৈরি করেছেন উপাচার্য। উল্লেখ্য, এই পড়ুয়া ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলার দিন সেখানে সক্রিয় ছিল।
অভিযোগকারী বলেন, “৯ অগাস্টের ঘটনার পরই র্যাগিং বিরোধী অ্যাক্টিভিটি করে চলেছি। দীর্ঘদিনের আক্রোশ ওদের ছিল। মেইন হস্টেলে এক পরিচিতের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। সে বেরনোর পর র্যাগার গোষ্ঠীর লোকজন চড়াও হয়। আমার মাকে ধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। ব্যাপারটা এতদূর গড়িয়ে গিয়েছে। উপাচার্য-সহ কর্তৃপক্ষকে সবটা জানিয়েছি।”





