Bikaner Guwahati Express Train Accident: দোমহনি রেল দুর্ঘটনায় এবার রেলের আধিকারিকদের ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ
Bikaner Guwahati Express Train: এরইমধ্যে দুর্ঘটনার আগে ওয়াকিটকিতে রেলের আধিকারিকদের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছিল, সেই ওয়াকিটকি থেকে রেকর্ডিং সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা।
জলপাইগুড়ি: মাস দুই আগের বীভৎস সেদিন! ১৩ জানুয়ারি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি দোমহনিতে বেলাইন হয়ে যায় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ৯ জনের মৃত্যু হয় এই দুর্ঘটনায়। এই দুর্ঘটনা ঘিরে প্রথম থেকে নানারকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে কোথাও কোনও গাফিলতি রয়েছে তা নিয়েও তদন্তের দাবি ওঠে। ইতিমধ্যেই রেল তদন্ত করছে। সূত্রের খবর, দোমহনিতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলের অফিসারদের ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করেছে জিআরপি। স্টেশন মাস্টার, স্টেশন ম্যানেজার, গেটম্যান-সহ মোট ছ’জনের ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে বলে দাবি সূত্রের।
তদন্তে নানা বিষয় ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে। ইতিমধ্যেই কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি রেলকে যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে নানা প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। এরইমধ্যে দুর্ঘটনার আগে ওয়াকিটকিতে রেলের আধিকারিকদের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছিল, সেই ওয়াকিটকি থেকে রেকর্ডিং সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তার ভিত্তিতেই ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করেছে জিআরপি ও ফরেনসিক টিম। সেই কথোপকথনের সঙ্গে রেলের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কন্ঠস্বর মিলছে কি না তা চিহ্নিত করতেই এই ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া হল। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট ও ফরেনসিকের অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর চিত্রাক্ষ সরকার এই ভয়েস স্যাম্পেল নেন। প্রসঙ্গত এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে ময়নাগুড়ি জিআরপি।
গত ১৩ জানুয়ারি ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ একটি রেল দুর্ঘটনা ঘটে। সেদিন বিকেলে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ১২টি কামরা। একটি কামরার উপর অন্য কামরা উঠে পড়ে। ঘটনার পরই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়। জবানবন্দি দেন ট্রেনের চালক। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি জানিয়েছিলেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে। ইক্যুইপমেন্টে হঠাৎ কোনও ফেলিওর হয়েছে কি না তাও তদন্ত করা হবে।
অন্যদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালক প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও দায়ের করা হয়। উত্তম রায় নামে এক যাত্রী লিখিত অভিযোগের দায়ের করেন চালকের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে জিআরপি। কমিশন অব রেলওয়ে সেফটির রেলকে দেওয়া রিপোর্টে বেশ কয়েকটি তথ্য উঠে আসে। প্রতি ৪৫০০ কিলোমিটার পর ট্রিপ ইন্সপেকশন করার কথা। কিন্তু ঘটনার দিন তা করা হয়নি বলে রেলের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হয়। যেখানে যেখানে ইন্সপেকশন করার কথা ছিল সেখানে সেখানে এটা করা হয়নি বলেই রিপোর্টে উল্লেখ ছিল।
আরও পড়ুন: Bengal Budget: কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না, বাজেট প্রস্তাবের পর রাজ্যবাসীকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতার
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘ইভিএমের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হোক’, উত্তর প্রদেশের রায় নিয়ে অখিলেশের পাশে মমতা