AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bengal Budget: কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না, বাজেট প্রস্তাবের পর রাজ্যবাসীকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতার

CM Mamata Banerjee: বাজেট পর্যন্ত পড়তে দিচ্ছে না বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Bengal Budget: কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না, বাজেট প্রস্তাবের পর রাজ্যবাসীকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী মমতার
বাজেট বরাদ্দ দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Mar 11, 2022 | 5:38 PM
Share

কলকাতা: বাজেট বরাদ্দ ৩.৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের যে প্রকল্পগুলি চলছিল, সেগুলি সবই চলবে। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট প্রস্তাব পেশের পর সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সারা ভারতবর্ষে একমাত্র রাজ্য বাংলা যেখানে সরকারি কর্মচারিদের পেনশন দেওয়া হয়। ওরা বড় বড় কথা বলে। বিজেপির সরকার যেসব রাজ্যে, একটাতেও তো পেনশন দেওয়া হয় না। ওরা আবার বড় বড় কথা বলে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন-

  • আমাদের অনেক প্রকল্প ইতিমধ্যেই চলছে। এমন কোনও সেক্টর নেই যেখানে প্রকল্প নেই। সেগুলি চলবে।
  • মোট বাজেট বরাদ্দ ৩.৮ গুণ বেড়েছে।
  • রাজস্ব আদায় ৩.৭৬ গুণ বেড়েছে। এত কোভিড, ইয়াস, আমফান সত্ত্বেও আমরা ৩.৩৬ গুণ বাড়াতে পেরেছি।
  • সোশাল সার্ভিস সেক্টরে বরাদ্দ ১০.৭ গুণ বেড়েছে।
  • কৃষি বিভাগে ৩৩.২ গুণ বেড়েছে বাজেট বরাদ্দ।
  • উচ্চ শিক্ষা দফতরের জন্য ২৫.৪ গুণ বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে।
  • স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ বিভাগে ১৯.৩ গুণ বরাদ্দ বেড়েছে।
  • নারীকল্যাণে ১৭.৫ গুণ বেড়েছে।
  • কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আমরা ৭০ লক্ষ কৃষককে সহায়তা দিচ্ছি।
  • লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ এখনও পর্যন্ত
  • সিএনজি চালিত গাড়িতেও একই অঙ্কে কর ছাড়ের প্রস্তাব। পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পে উৎসাহ দিতে রেজিস্ট্রেশন ফি আর রোড ট্যাক্সে দু’ বছর ছাড়।
  • স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা সাড়ে ৯ কোটি মানুষ পাচ্ছেন, খাদ্যসাথীর সুবিধা পাচ্ছেন ১০ কোটি মানুষ।
  • আমরা যখন ক্ষমতায় আসি গ্রামবাংলার রাস্তা ছিল মাত্র ২৯ হাজার ৭০৬ কিমি। রাস্তায় বিপ্লব হয়ে গেছে। আমরা ১ লক্ষ ৩৪১ কিমি রাস্তা করেছি ১০ বছরে।
  • বিধবা ভাতায় অতিরিক্ত বরাদ্দ বাজেটে
  • চা বাগানে কৃষি আয়ের উপর কর মকুব।
  • ২০২৪ -এর মধ্যে সর্বত্র পানীয় জল।
  • জমি বাড়ি রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ল আরও ছ’ মাস।
  • আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের উপর এখনও ৯০ হাজার কোটি টাকার মতো পাই। কথায় কথায় বলে কেন্দ্র দিচ্ছে। কোথা থেকে দিচ্ছে কেন্দ্র? এখান থেকে জিএসটির টাকা নিয়ে যাচ্ছে। অথচ আমাদের ভাগটাই আমরা পাচ্ছি না। ইনকাম ট্যাক্স রাজ্য থেকে নিয়ে যায়। কাস্টমস, সেস নিয়ে যায় রাজ্য থেকে। ১০০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র তুলে নিয়ে গিয়ে আমাদের ৪০-৪৫ শতাংশ বিভিন্ন প্রকল্পে দেয়। এটা কেন্দ্রের কৃতিত্ব নয়। মাছের তেলে মাছ ভাজে। তাতে নাম দেয় কেন্দ্রের।
  • যারা বলে বেড়াচ্ছে ‘আনপ্ল্যান্ড অর্থনীতি’, আগামিদিন পেনশন পাবেন না! তারা মনে রাখে যেন, একমাত্র রাজ্য বাংলা যারা সরকারি কর্মীদের পেনশন দেয়। সোফায় বসে যারা জ্ঞান দেয় তাদের জানা দরকার, বিজেপির কোনও রাজ্য পেনশন দেয় না। চোরের মায়ের বড় গলা। খালি বড় বড় ভাষণ। এইতো বলছে পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়বে।
  • মানুষের হাতে পয়সা দিলে অর্থনীতিটা সচল হয়। আমরা যেমন দিচ্ছি। আমার লোকপ্রসার শিল্পীরাও ভাতা পান, বিধবারা ভাতা পান, মেয়েরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান, শ্রমিকরা পান। মানবিক ভাতা পান ফিজিকালি চ্যালেঞ্জড যাঁরা।
  • বানতলা লেদার ইন্ডাস্ট্রি গেটওয়ে হয়ে গেছে। ৫ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। কয়েক লক্ষ হয়েও গিয়েছে। সারা বাংলাজুড়ে কাজ হচ্ছে।
  • বন্যায় যাতে বাংলা না ভাসে তার জন্য পরিকল্পনা করে ৩ লক্ষের উপরে জলাশয় কেটেছি আমরা, চেকড্যাম তৈরি হয়েছে। কিন্তু বারবার কেন্দ্রকে বলা হলেও এখনও ডিভিসি একবারের জন্য ড্রেজিং করেনি।
  • ব্যাঙ্ক এমন জায়গায় চলে এসেছে, টাকা রাখবে মানুষ কিন্তু তা ফেরত পাবে কি না তাও জানে না। এমন পরিস্থিতি এসেছে। মানুষের সচল ভাগ্য অচল করে দেওয়া হয়েছে। ভোটযন্ত্র আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জোরে, একনায়কতন্ত্রের জোরে কয়েকটা রাজ্যে জিতে লাফাচ্ছে। ২০২৪-এর বাজনা বাজাতে শুরু করেছে। ডুগডুগি বাজালে হবে না, সঙ্গে করতাল, ঘণ্টা, হারমোনিয়াম, তবলা, ভায়োলেন, তান, প্রাণ চাই। সব নিয়েই ২০২৪ আসবে।
  • আগামী দু’বছর পরে কে কোথায় থাকবে কেউ বলতে পারে না। দু’ বছর পর আমি বেঁচে থাকব কি না আমি বলতে পারব? অমিতদা বলতে পারবেন অমিতদা বেঁচে থাকবেন কি না, চন্দ্রিমা বলতে পারবে ও অর্থমন্ত্রী থাকবে কি না! ডেস্টিনি ইজ ডেস্টিনি। ডেস্টিনি আর ডেস্টিনেশনের মধ্যে পার্থক্য আছে। বিজেপি বড় বড় ভাব করছে। বাজেটটা পর্যন্ত পড়তে দিচ্ছে না। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম। আমি দু’টো জেনারেল রেল বাজেট, ৭-৮টা সাপ্লিমেন্টারি বাজেট পাশ করেছি। আমি কখনও এরকম দেখিনি। কিছু করার ক্ষমতা নেই। খালি হইহই। হাওয়ায় ভাসছে।
  • সব তো ফ্লপ শো ওদের। নিজের ওয়ার্ডে জেতার ক্ষমতা নেই, ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    আরও পড়ুন: Madan Mitra: মুখে ব্যান্ডেজ, হাতে লেখা ‘গলায় ব্যথা, পায়ে সর্ষে’… এসএসকেএম থেকে বেরোলেন এ কোন মদন মিত্র!