
কলকাতা: বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে এসে ঝড় তুলে গিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পা পড়েছে অমিত শাহেরও। নিশানায় তৃণমূল। অন্যদিকে উত্তর থেকে দক্ষিণ, কখনও বড় নেতাদের ঘরে টেনে কখনও আবার বঞ্চনার ইস্যুতে বিজেপির উপর চাপ বাড়িয়েই চলেছে তৃণমূল। এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেল ১১ বনাম ১৪-র লড়াই। ১১ বছরে দেশের মসনদে মোদী, অন্যদিকে ১৪ বছর বাংলার মসনদে মমতা। এই ১১ বছরে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কী কী কাজ করেছে, আম জনতা কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী ভাবে সুবিধা পেয়েছে, তার খতিয়ান তুলে ধরে নাগরিকদের কাছে পৌঁছতে চাইছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা।
৯ জুন নরেন্দ্র মোদীর সরকারের ১১ বছর পূর্তি হবে। সেই উপলক্ষে কিভাবে প্রচার করতে হবে। তার নির্দেশিকা ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যা চলতি জুন মাসের বড় একটা সময় জুড়ে চলবে। মোদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের পেশাগত জগতের মানুষের সঙ্গে আলাদা করে সাক্ষাৎ করবেন পদ্ম শিবিরের নেতৃত্ব। তারপরে মণ্ডল পর্যায়ে বিকশিত ভারতের সংকল্প সভা করবেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, শুধু মোদী সরকারের প্রচারই নয়, বাংলা কেন পিছিয়ে রয়েছে তাও তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে কী কী কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি তার কথাও তুলে ধরবেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। অন্যদিকে ১৪ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন সরকার কিভাবে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত – মানুষের পাশে থাকতে বিভিন্ন প্রকল্প করেছে, কত মানুষ উপকৃত হয়েছেন, কীভাবে আরও মানুষকে যুক্ত করা হবে এই সব নিয়ে আমজনতার দোরে দোরে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে গত মাসের শেষে আলিপুরদুয়ারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য সরকারে বিরুদ্ধে উন্নয়নে ব্যর্থতার অভিযোগে তোপের পর তোপ দেগেছিলেন। কীভাবে বাংলার সরকার একের পর এক কেন্দ্রের প্রকল্প আটকে রেখে, বাধা দিয়েছে তা নিয়ে গর্জে উঠেছিলেন। শোনা যাচ্ছে, ভোটের আগে অনেকটাই বেড়ে যাবে মোদীর বঙ্গ সফর। একই ছবি দেখা যাবে শাহের ক্ষেত্রে। সূত্রের খবর, জুন মাসে ফের বঙ্গে আসতে পারেন মোদী। এমতাবস্থায় বিজেপি তাঁদের নতুন প্রচার কর্মসূচিতে কতটা ঝড় তোলে সেটাই দেখার।