কলকাতা: সিবিআইয়ের চার্জশিটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করলেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন ৫ প্রতিনিধি। রাজ্যপালের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁরা। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁদের বিশেষ কথা হয়নি। রাজভবন থেকে বেরিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা জানালেন, কারও উপর খুব একটা ভরসা পাচ্ছেন না তাঁরা।
১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। একের পর এক জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে শুধু নাম রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারের। এই নিয়ে যেমন বিভিন্ন নাগরিক মঞ্চ সরব হয়েছে। তেমনই জুনিয়র ডাক্তাররা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সিবিআইয়ের চার্জশিটের বিরোধিতা করেই এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা।
৩টা বেজে ৪৫ মিনিটে রাজভবনে পৌঁছান জুনিয়র ডাক্তাররা। ৫টা বেজে ৩০ মিনিটে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান তাঁরা। তারপর রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, “আমরা ১২ জন প্রতিনিধি এসেছিলাম। তখন রাজ্যপাল বিশ্রাম করছিলেন। পরে ৫ জন তাঁর সঙ্গে দেখা করি। ডেপুটেশন জমা নিয়েছেন। কথাবার্তা সেইরকম কিছু হয়নি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা হয়নি। আর এক জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ বলেন, কর্মচারী মারফত রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বিষয়গুলো দেখবেন।
রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের ১০টা দাবির মধ্যে ৭টা দাবি মানা হয়েছে। এই নিয়ে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, ১০টা দাবির মধ্যে ৭টা দাবি মানা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ৯০ শতাংশ কাজ মোটেও হয়নি। সেই গ্রাউন্ড রিপোর্ট আমরা দিতে পারি। সাতটা দাবি যে মেনে নেওয়া হয়েছে বলছে। সেটা ভিত্তিহীন। হ্যাঁ পাইলট প্রোজেক্ট চালানো হবে বলছে। একইসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা জানালেন, তাঁরা কারও উপর ভরসা পাচ্ছেন না।