
কলকাতা: ওসমান হাদির মৃত্যুর পর নতুন করে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। হিন্দু বিরোধিতার আবহে হিংসার মধ্যে হিন্দু যুবক দীপু দাসকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে বাংলাদেশে। তোলপাড় এপার বাংলাতেও। এদিনই কলকাতায় বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করতে দেখা যায় সনাতনীদের। সেখানে আবার পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় চাপানউতোর তৈরি হয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তা নিয়েও তোপ দেগেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আজকে বর্বোরোচিত ভাবে মারা হয়েছে। যারা মেরেছে তাদের আমরা আইডেন্টিফাই করব। আমাদের ধারনা এই পুলিশের মধ্যে একটা বড় অংশ ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে তৃণমূলের জমানায় চাকরি পেয়েছে।” যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন, “প্ররোচনামূলক দৃশ্যপট তৈরির জন্য বিজেপি এখানে এসব করছে। ধর্মীয় মেরুকরণের জন্য করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে হিন্দু বিরোধিতা একেবারে চরমে উঠেছে বাংলাদেশে। ভারতের উপর চাপ তৈরি করতে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন ইতিমধ্য়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা নিয়ে চাপানউতোর চলছে আন্তর্জাতিক আঙিনাতেও। অন্যদিকে সে দেশে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের মতো প্রথমসারির সংবাদমাধ্য়মের অফিসে হামলার ঘটনায় মুখ পুড়েছে ইউনুস সরকারের। কিন্তু ওপারের সব নজর যেন এখনও সেই ভারতের উপরেও। টালমাটাল এই সময়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়া দিল্লির আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভারতের তুলোধনা করেই চলেছেন সে দেশের রাজনীতিকরা। যদিও শুভেন্দু বলছেন, এদের গুঁতো দরকার।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “ওদের গুঁতো দেওয়ার জন্য কোনও আর্মি, রাফাল পাঠানোর দরকার নেই। হাসিমারা থেকে রাফালের আওয়াজটা দিয়ে দিলেই যা হওয়ার হয়ে যাবে। অনেক ড্রোন উড়েছিল অপারেশন সিঁদুরে। যদি কোনও ড্রোন পড়ে থাকে তাহলে ওটাকে আবার একবার তুলে ছেড়ে দিলেই হয়ে যাবে। একদম পিঁপড়ে। পিঁপড়ের মধ্যেও অনেক সাইজ আছে। ওরা একদম ছোট পিঁপড়ে।”