যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তা কি মেয়াদ উত্তীর্ণ? কসবার আগেও সিটি কলেজে ক্যাম্প করেছিলেন দেবাঞ্জন
প্রথমে ভুয়ো আইএএস দাবি করেছিলেন, বাগড়ি মার্কেট থেকে তিনি ভ্যাকসিন কিনেছিলেন। সেই বয়ান থেকে পরে সরে আসেন দেবাঞ্জন। কসবার ওই ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন উদ্ধার হয়েছে। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা: দেবাঞ্জন দেব- কসবা জালিয়াতি চক্রের মূল পাণ্ডা, তাঁর কথাতে মিলছে বিস্তর অসঙ্গতি (Kasba False Vaccination Camp)। পুলিশি সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যেই নিজের বয়ান বদলাচ্ছে দেবাঞ্জন (Debanjan Deb)। মানুষের সেবা করতেই নাকি ভ্যাকসিন দিতেন, পুলিশি জেরাতে এমনটাই দাবি করেছেন দেবাঞ্জন। ভুয়ো আইএএসের কসবার অফিসের কর্মীদের ইতিমধ্যেই সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
হঠাৎ কেন নিজের উদ্যোগে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন দেবাঞ্জন, সেটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তবে এরই কোনও সঠিক উত্তর দিচ্ছেন না দেবাঞ্জন। বুধবার রাতভর দফায় দফায় দেবাঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু পুলিশ জানাচ্ছে, মাঝেই মাঝেই বয়ান বদল করছে দেবাঞ্জন।
প্রথমে ভুয়ো আইএএস দাবি করেছিলেন, বাগড়ি মার্কেট থেকে তিনি ভ্যাকসিন কিনেছিলেন। সেই বয়ান থেকে পরে সরে আসেন দেবাঞ্জন। কসবার ওই ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন উদ্ধার হয়েছে। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে উল্লেখ্য, ওই ক্যাম্প থেকে এমন কোনও কনটেনার পাওয়া যায়নি, যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে।
শুধু কসবাতেই নয়, উত্তর কলকাতার সিটি কলেজেও ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন দেবাঞ্জন। কসবার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তর কলকাতার কলেজের ওই শিবিরের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। কসবার অফিসের কর্মীদের তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে দেবাঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে কসবার অফিসে যেতে পারেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনকে নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রশাসনিক কর্তাদের যোগ থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “এত দিন ধরে ভুয়ো একটা লোক এত কাজ করে আসল অথচ প্রশাসনের কেউ জানতেই পারল না? এটা হতে পারে না! নিশ্চয় প্রশাসনেরও কেউ জড়িত রয়েছে এর সঙ্গে।”