রাজীবের সুরবদল! কী পরামর্শ দিয়ে রাখলেন অভিষেক?

কলকাতা: দিল্লি গিয়ে বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাংলার নেতাদেরও সুর একেবারে সপ্তমে। কিন্তু তাল কেটেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে […]

রাজীবের সুরবদল! কী পরামর্শ দিয়ে রাখলেন অভিষেক?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 09, 2021 | 10:50 AM

কলকাতা: দিল্লি গিয়ে বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাংলার নেতাদেরও সুর একেবারে সপ্তমে। কিন্তু তাল কেটেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেবে না’। তাতে আবার অন্য জল্পনা মাত্রা পেয়েছে। তবে কি ঘরে ফিরতে চাইছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee )?

প্রশ্ন করতেই সপাটে তার জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, ” কে কী ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, আমার জানা নেই। বিজেপি নেতারা আগে অন্তর্কলহ মেটান, তারপর তৃণমূল নিয়ে মন্তব্য করবেন।”

নির্বাচনের সময় জেলায় জেলায় হিংসা বেড়েছে। ভোট পরবর্তী রাজ্যের অশান্তিকে একেবারে জাতীয় স্তরে নিয়ে যেতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের পক্ষে সওয়াল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। আজ দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। এদিকে, এই ইস্যুকে সামনে রেখেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বে। হেস্টিংসের দফতরে নির্ধারিত হচ্ছে আন্দোলনের রূপরেখা। কিন্তু সেই বৈঠকে দেখা মেলেনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুুকুল রায়কে।

আরও পড়ুন: বুধে ‘লেভেল টেস্টের’ আরও এক ধাপ! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে শুভেন্দু

কিন্তু এসবের মধ্যেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফেসবুক পোস্ট। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ফোরক পোস্ট করলেন। বিজেপির মধ্যেই ভিন্ন সুরে স্বাভাবিকভাবে ফ্রন্টফুটে তৃণমূল। একে নির্বাচনে ভরাডুবি, তার ওপর দলের সিনিয়র নেতাদের দলবদলের জল্পনা। অস্বস্তিতে বিজেপি। রাজীবের বেসুরে সম্ভবত আরও বাড়ল পদ্মশিবিরের মাথাব্যথা। যদিও রাজীব প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত, যে কর্মীরা তাঁর জন্য নির্বাচনে লড়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।” রাজীবকে বিঁধেছেন সৌমিত্র খাঁও।