বুধে ‘লেভেল টেস্টের’ আরও এক ধাপ! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে শুভেন্দু

আজ, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করবেন তিনি (Suvendu Adhikari)।

বুধে 'লেভেল টেস্টের' আরও এক ধাপ! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে শুভেন্দু
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 09, 2021 | 8:09 AM

কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেছেন তিনি। দেখা করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda) সঙ্গেও। বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, “৩৫৬ ধারা যে সব কারণে জারি হয়ে থাকে, তার থেকেও বাংলার পরিস্থিতি খারাপ।” আজ, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করবেন তিনি (Suvendu Adhikari)।

শুভেন্দু অধিকারীর রাতারাতি দিল্লিতে তলব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চড়তে থাকে। সোমবার বিকালের পর সিদ্ধান্ত হয় আর তারপরই শুভেন্দু অধিকারীকে তলব। রাত ১১টা নাগাদ পৌঁছন শুভেন্দু। সকালে গুজরাটে নেতা নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মনসুভ মণ্ডাভিয়ার সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটা নেহাতই কোনও সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়। কারণ এই গোটা আবহে মনসুভ মাণ্ডাভিয়ার উপস্থিতি বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ।

তারপর অমিত শাহর বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু মিনিট পনেরোরও কম সময়ে বৈঠক হয়। এবং অমিত শাহের দফতর থেকে কেবল একটি টুইট করে শুধুমাত্র বৈঠক হওয়ার বিষয়টিই জানানো হয়। এরপর শুভেন্দু অধিকারী জানান, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে।

তবে এসবের মধ্যে মঙ্গলবার ভীষণওভাবে প্রকট হয়েছে বিজেপি অন্দরের ফাঁকফোকড়। শুভেন্দু অধিকারীকে কেন দিল্লিতে তলব করা হয়েছে, তা সম্পর্কে বিন্দুবিসর্গ ধারণা নেই বলে প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একদিকে, যখন দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদের রূপরেখা নির্ধারণে হেস্টিংসে বৈঠক করছেন দিলীপ ঘোষেরা, তখন অন্যদিকে, অমিত শাহর বাড়িতে শুভেন্দু।

এদিকে, আবার কার্যত সে সময়ই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে লাইভে আসেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেবে না’। তাতে আবার অন্য জল্পনা মাত্রা পেয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার ভবিষ্যতবাণী করে ৭৭ এ ঠেকে যাওয়া দলের কাছে মুখ রক্ষার একমাত্র অবলম্বন নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারার তৃপ্তি। সেটা এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই। কাজেই ওই পুঁজির মালিককে গুরুত্ব দিতে চাইছে মোদী-শাহ জুটি।

আরও পড়ুন: ‘মমতার বিরোধী মুখ কোথায়?’ এবার ‘আত্মবিশ্লেষণ’ সব্যসাচীর

অকারণে শুভেন্দু কে এগিয়ে দিয়ে বা হাইলাইট করে মমতার “ব্যক্তিগত পরাজয়” কে বার বার উস্কে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে ভিন দল থেকে আসা একের পর এক নেতা যখন ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য মমতার সামনে নাকেখত দিতেও রাজি তখন শুভেন্দু কেই খাঁটি এবং ‘দীর্ঘমেয়াদি’ বলে ধরে নিচ্ছে বিজেপি। পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলি দলের চোখে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা বাড়ানোর পক্ষে অনুকূল। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ তাঁর সাক্ষাৎও বিশেষ রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ।