বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, ফের কি পদ্মশিবিরে মুকুল? জল্পনায় ঘি দিলীপের

Kolkata: তারপরও তাঁর গলাতেই ফের বিজেপির জন্য জয়ের আশাবাদ! তাও আবারও নিজের কেন্দ্র কৃষ্ণনগরেই। তা নিয়েই শুরু হয় ধোঁয়াশা।

বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, ফের কি পদ্মশিবিরে মুকুল? জল্পনায় ঘি দিলীপের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2021 | 7:17 AM

কলকাতা: ‘বিজেপির জয় হবে’, উপনির্বাচনে কৃষ্ণনগরে বিজেপির টিকিটে দাঁড়ালেই তিনি জিতবেন- এ হেন একাধিক উক্তিতে রাজনৈতিক মহলে একটা ‘গুগলি’ তৈরি করে রাখতে চেয়েছেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy)। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে কি মুকুল রায় ফের বিজেপিতে আসতে চাইছেন? বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন? এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

বুধবার তিনি স্পষ্টই বললেন, “মুকুল রায় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পারেন। তিনি যে স্তরের নেতা, সবার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে । তবে বিজেপি তে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন কিনা, জানি না।”

তিনি ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। শীর্ষ পদে থেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসেন তিনি। কৃষ্ণনগরে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরই অজ্ঞাত কারণে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরেন।

কিন্তু তারপরও তাঁর গলাতেই ফের বিজেপির জন্য জয়ের আশাবাদ! তাও আবারও নিজের কেন্দ্র কৃষ্ণনগরেই। তা নিয়েই শুরু হয় ধোঁয়াশা। বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মুকুলকে বলতে শোনা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরে আবারও নির্বাচন হলে তিনিই জিতবেন। তবে তৃণমূলের টিকিটে নয়, বিজেপির টিকিটে লড়লেই জিতবেন।

সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিল, কৃষ্ণনগর থেকে দাঁড়ালে কী তিনি জিতবেন? আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, “আবারও বিপুল ভোটে জিতব। তবে বিজেপির টিকিটে দাঁড়াতে হবে। তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে কী হবে, সেটা মানুষ ঠিক করবে।”

বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, যিনি বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিত চাণক্য নামে, তাঁর এই অন্তনির্হিত অর্থ তলাসে এখন ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল। মুকুল রায় আদৌ কী বলতে চেয়েছেন, কী তার অর্থ তা বোঝার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে কেবলই কৌতুক করতেই তাঁর এই উক্তি, নাকি লুকিয়ে অন্য সমীকরণ।

এদিকে, দলত্যাগের পর মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা চলছে। এখনও তিনি খাতায় কলমে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি সেই পদ খারিজ করতে চায়। আর সেই সূত্রেই বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান পদও মেনে নিতে নারাজ বিজেপি। পিএসি-র সব বৈঠক বয়কটের ডায় দিয়েছেন তাঁরা।

এরই মধ্যে স্পিকারকে চিঠি দিয়ে বিধায়ক পদ খারিজের শুনানি এড়িয়ে গিয়েছেন মুকুল রায়। তখন অবশ্য তাঁকে বিঁধেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, ‘মুকুল রায়ে বিধানসভায় যাওয়ার মুখ নেই।’ শুধু তাই নয়, দিলীপ বললেন, মুকুল নাকি চাপে পড়েই তৃণমূলে গিয়েছেন।

বিধানসভায় একটি চিঠি পাঠান কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। সেখানে তিনি স্পিকারকে জানান, দলত্যাগ নিয়ে যে প্রশ্নের মুখে তাঁকে পড়তে হচ্ছে, এক মাস পর তা নিয়ে জবাব দেবেন তিনি। বিরোধী দলনেতাকেও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিষয়টি ভালভাবে নেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিষয়টির দ্রুত সমাধান চান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কৌতুক সেই কারণেই কৃষ্ণনগরে মুকুল রায় নিজেকে বিজেপি নেতা হিসাবে প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা করছেন। আরও পড়ুন: উপনির্বাচন করাই যাবে না! ৮ কারণ দেখিয়ে চিঠি পদ্মের, স্নায়ুর চাপ বাড়তেই কমিশনে তৃণমূলও