Post Poll Violence: মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যুর তথ্য তালাসে সিবিআই
Post Poll Violence: সেই দিন থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন মানস সাহা। বুধবার সকালের দিকে শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে শুরু করায় পরিবারের লোকেরা তাঁকে ঠাকুরপুকুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান ।
কলকাতা: মগরাহাট (Mograhat) পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যুর তদন্তে তত্পর সিবিআই (CBI)। তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে সিবিআই। পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? মামলা হয়েছিল কিনা? কেউ গ্রেফতার হয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।
ভোট গণনার দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই শারীরিক অসুস্থতা। ২২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে প্রাণ হারালেন বিজেপির মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থী মানস সাহা। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন মানস সাহা। তিনি বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি। চলতি বছরের ২ মে ডায়মন্ড হারবার মহাবিদ্যালয়ের ভোট গননা কেন্দ্রে থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন মানস সাহা সহ বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী ও সমর্থক। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রিত।
সেই দিন থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন মানস সাহা। বুধবার সকালের দিকে শারীরিক অসুস্থতা বাড়তে শুরু করায় পরিবারের লোকেরা তাঁকে ঠাকুরপুকুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান । আজ দুপুরে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মানস সাহার বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। ২২ সেপ্টেম্বর, বুধবার ঠাকুরপুকুরের বেসরকারি হাসপাতালে বেলা দশটা কুড়ি নাগাদ মৃত্যু হয় মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার।
বুধবারই হাসপাতালে পৌঁছে অর্জুন সিং পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মানস সাহার পরিবারের লোকেরা যদি থানায় এফআইআর দায়ের করেন, তাহলে এই মামলা তিনি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাবেন। মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু আবারও রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের দিকেই ইঙ্গিত দেয়। এই মৃত্যুর তদন্তে তত্পর সিবিআই। এখনই এই মামলার তথ্য তালাশ শুরু করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য,জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্তদের মাত্র তিন শতাংশকেই গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। অথচ রাজ্যের দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট একেবারেই বিভ্রান্তিকর। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় অভিযুক্তদের ৫৮ শতাংশকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জমা করা হলফনামায় জানিয়েছে রাজ্য।
ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৪০০-র থেকেও বেশি মামলা রুজু হয়েছে বলে দাবি। এছাড়া আরও বলা হয়েছে, মোট অভিযুক্ত রয়েছে ৮ হাজার ১৫২। এদের মধ্যে গ্রেফতার, আত্মসমর্পণ কিংবা আদালতে জামিন পেয়েছে এমন সংখ্যা ৫ হাজার ১৫৮। পাশাপাশি ২ হাজার ৯৮৩ জনকে নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য।
আরও পড়ুন: Coal Scam: কয়লাকাণ্ডে দ্বিতীয়বার ইডির সমন মলয় ঘটককে, এবারও এড়ালেন হাজিরা
Dilip Ghosh: ‘সাতে হাফপ্যান্ট, ৭০-এ লুঙ্গি পরে জলে ঘুরছেন সৌগত’, কলকাতার ‘জলছবি’ নিয়ে ব্যঙ্গ দিলীপের