Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘লম্বা ছুটি কাটাতে যাচ্ছি’, কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ?

Dilip Ghosh: বুধবার সকাল ৬টার বিমানে ১০ দিনের দিল্লি সফরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

'লম্বা ছুটি কাটাতে যাচ্ছি', কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2021 | 7:43 AM

কলকাতা: ‘লম্বা ছুটি কাটাতে যাচ্ছি।’ বলে দিল্লি উড়ে গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বুধবার সকাল ৬টার বিমানে ১০ দিনের দিল্লি সফরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সংসদীয় টিমের সঙ্গে তাঁর কাশ্মীর যাওয়ার কথাও রয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, একেবারে সংসদ অধিবেশন সেরেই ফিরবেন তিনি।

দুদিন আগেই তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কী কারণে তাঁকে আচমকা দিল্লি তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তা নিয়ে একাধিক ইস্যু উঠে এসেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন, নির্বাচনে হারের কারণ ও বঙ্গ বিজেপির একের পর এক নেতার বেসুরো হওয়ার কারণ পর্যালোচনা করতেই এই বৈঠক।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ঠিক সেই বিষয়টি নিয়েই বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, দিলীপ শিবির থেকে বেসুরোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যে চাপ তৈরি হচ্ছে, তা এখনই কেন বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়, সেটি নিয়েও আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর থেকেই বাংলার বিজেপির কোন্দল নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে ‘ছাঁটাই’ হওয়ার পর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। তিনি লিখেছিলেন, তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে, তাই দিয়েছেন। এই পোস্টে বাবুলের ভাষা নির্বাচন সঠিক হয়নি বলে বলেন দিলীপ ঘোষ।

বোমা ফাটিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁও। যদিও তাঁকে কড়া ভাষায় উত্তর দিয়েছেন দিলীপ। তবে অস্বস্তিতে পড়তে হয় গেরুয়া শিবিরকে। এই পরিস্থিতিতে এই ‘সংক্রমণ’ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। তাই রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকে ডেকে সেই বার্তাই দিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। এলাকায় বোমাবাজি হয়। সে প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভাটপাড়া-সহ পুরো বারাকপুর এলাকা উপদ্রুত হয়ে গিয়েছে। অর্জুন সিং যবে থেকে বিজেপি জয়েন করেছেন, তবে থেকে তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে। তাঁকে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রাখা হচ্ছে। তাঁর লোকজনদেরকেও টার্গেট করা হচ্ছে। বারাকপুরে অর্জুন সিংকে যাতে ডিস্টার্ব করা যায় সেই কারণে পুলিশ অফিসারও নিয়োগ করা হয়।”  আরও পড়ুন: বিজেপির এই ৬ ভুলে বঙ্গে ডুবল পদ্মফুল, হারের ময়নাতদন্ত তথাগতর

বিধানসভার কমিটিগুলি থেকে বিজেপি বিধায়কদের পদত্যাগ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “আমরা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলাম সরকার যেভাবে চলছে তাদের সঙ্গে থাকার কোনও মানেই হয় না।” প্রসঙ্গত, বিধানসভায় ৮ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিজেপি বিধায়কদের। কিন্তু কেন মুকুল রায়কে PAC চেয়ারম্যান করা হল, তার প্রতিবাদ জানিয়ে ওই কমিটিগুলির চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছে বিজেপি।