Kolkata Fraud Case: শোধ করতে পারেনি ব্যাঙ্কের ঋণ! শহরের আরও এক বড় সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
Kolkata Fraud Case: ঋণ নিয়ে অন্য জায়গায় টাকা খাটিয়ে ঋণ পরিশোধ করেনি বলে অভিযোগ। ২০১৭ সালে মামলা রুজু করেছিল সিবিআই। তার ভিত্তিতেই ইডিও মামলা রুজু করে।
কলকাতা: ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ না করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ মহালক্ষ্মী কর্পোরেশনের ৪২.৩৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে ১৬৪ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগ রয়েছে। ঋণ নিয়ে অন্য জায়গায় টাকা খাটিয়ে ঋণ পরিশোধ করেনি বলে অভিযোগ। ২০১৭ সালে মামলা রুজু করেছিল সিবিআই। তার ভিত্তিতেই ইডিও মামলা রুজু করে।
প্রসঙ্গত, সোমবারই কয়লাপাচার কাণ্ডে মূল চক্রী অনুপ মাজি ওরফে লালা, বিনয় মিশ্র ও বিকাশ মিশ্রর ৯.২৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমি, গাড়ি, বেনামে থাকা সম্পত্তি ও কারখানাও রয়েছে। তদন্ত শুরু করার পর কয়লাপাচার কাণ্ডে বড় অঙ্কের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইডির তরফে। এর আগে বিনয় মিশ্রের বাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে মোট সাড়ে ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পিএমএলএ অ্যাক্টে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই সম্পত্তি ও টাকা। আরো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। বিনয় মিশ্রকে বারবার তলব করার পরেও হাজির না হওয়ায় এই প্রক্রিয়া। এর আগে কলকাতায় বিনয় বিকাশের কোটি টাকার বাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য এর আগে, কয়লা কাণ্ডে (CBI On Coal Smuggling Case) মূল চক্রী অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার ৫০ রকমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেয় আসানসোল সিবিআই আদালত (CBI Court)। জমি, বাড়ি-সহ বিভিন্ন সম্পত্তি রয়েছে লালার। এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ৬৮ জায়গায় সম্পত্তি রয়েছে লালার। পুরুলিয়া, আসানসোল, রানিগঞ্জ, বাঁকুড়া, দুর্গাপুরে এই সম্পত্তি রয়েছে অনুপ মাঝি ওরফে লালার। এর মধ্যে কয়েকশো একর জমি রয়েছে, যেখানে কয়লা খনি বানাতে চেয়েছিলেন তিনি।
অনুপ মাঝির পাশাপাশি কয়লা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই-এর নজরে আরও তিন জন। কয়লা পাচার কাণ্ডে এখন সিবিআইয়ের নজরে বিনয় মিশ্র। তাঁর নাম উঠেছে এসেছে গরু পাচারের ক্ষেত্রেও। এই পাচারের মাথা অনুপ মাঝি ওরফে লালা। সামনে আসে খোদ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েক স্ত্রীর নামও। লার ২৫টি হিসেবের খাতা আসে তদন্তকারীদের হাতে। ২০১৫ সালের ব্যবসার হিসেব খুঁজে পাওয়া যায় সেখানে। কয়লাকাণ্ডে সমান্তরালভাবে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই ও ইডি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ১৭৩.৫০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে ইডি-র হাতে পাকড়াও ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারির পর বাজেয়াপ্ত ৪.৬৩ কোটি টাকা, ২টি গাড়ি। রাজ্যের ৬ জায়গায় তল্লাশির পরে পাকড়াও জালিয়াত। ব্যাঙ্কের জাল নথি দেখিয়েই বিপুল পরিমাণ টাকার জালিয়াতি করেন ওই ব্যবসায়ী।