আসন রফা নিয়ে সিদ্দিকির প্রস্তাব কাঁটা! বাম কংগ্রেসের জোট বৈঠক এড়াতে চলেছেন মান্নান?

জোট নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) অবস্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব? আব্বাস সিদ্দিকির (Aibbas Siddiqui) দলকে কোনওমতেই ৫-৬টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ বহরমপুরের সাংসদ।

আসন রফা নিয়ে সিদ্দিকির প্রস্তাব কাঁটা! বাম কংগ্রেসের জোট বৈঠক এড়াতে চলেছেন মান্নান?
ছবি- ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Feb 23, 2021 | 2:05 PM

কলকাতা: আইএসএফের সঙ্গে জোট বৈঠক (Left Congress Seat Alliance Meet)এড়াবেন বিরোধী দলনেতা তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান (Abdul Mannan)! তেমনই জল্পনা চলছে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, জোট নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) অবস্থান। আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddiqui) দলকে কোনওমতেই ৫-৬টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ বহরমপুরের সাংসদ। যদিও অধীরকে বুঝিয়ে ৭-৮টি পর্যন্ত আসন ছাড়তে রাজি করানো গিয়েছিল।

কিন্তু উত্তরবঙ্গের একটিও আসন ছাড়তে নারাজ লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা। তা নিয়ে মান্নান ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়েছে অধীরের। মান্নান-প্রদীপ শিবিরের যুক্তি, জোট করে লড়তে গেলে সব দল অনেক আত্মত্যাগ করতে হবে। তা করছেন অন্য দলের নেতৃত্ব। সেখানে একগুঁয়ে মনোভাব দেখানো অর্থহীন।

এভাবে চললে আর জোটের বৈঠক করার প্রয়োজন নেই। কারণ, তাতে সমস্যার সমাধান হবে না। ভোট দোরগোড়ায়। ফলে জোটকে এখনও পূর্ণতা না দেওয়া গেলে ভোটের বাক্সে তার সুফল মিলবে না। তাই এখনই সমাধান করতে হবে। কিন্তু পিসিসি সভাপতির যা মনোভাব তাতে জোট নিয়ে বৈঠক অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে। তাতে মুখরক্ষাও হচ্ছে না বর্ষীয়ান দুই নেতার। ফলে ‘তারিখ পে তারিখ’-এর মত বৈঠকে করে কী হবে, প্রশ্ন তুলেছেন ওই নেতার ঘনিষ্ঠরা।

অধীর শিবিরের অবশ্য পালটা যুক্তি, কংগ্রেস যদি নিজেদের সব আসন ছেড়ে দেয়। তবে জোট করে কী লাভ? জোটের জন্য তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কংগ্রেসের ভিত আলগা করে কী লাভ হবে? বুঝতে হবে সংসদীয় রাজনীতিতে সংখ্যাই শেষ কথা। আর সেই সংখ্যাই আমাদের মূল লক্ষ্য। জোট মানে এটা নয়, নিজেদের ‘উর্বর’ জমিতে কাউকে চাষ করার সুযোগ করে দেওয়া।

আরও পড়ুন: চার বছরের ব্যবধানে গুরুং-বিনা দিলীপ আজ ফের পাহাড়ে, চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

আব্বাসরা কংগ্রেসের থেকে নূন্যতম ১৫টি আসন চান। সেই সংখ্যা না পেলে তাঁদের পক্ষে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা খুব কঠিন হবে। কিন্তু বামেদের তাঁদের জোট প্রক্রিয়া প্রায় শেষ লগ্নে। দুটি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। ফলে ওই দুই আসন নিয়ে রফাসূত্র বেরোলে জোট সম্পূর্ণ হবে। ফলে বাম, কংগ্রেস আর আইএসএফ জোট চেহারা যে ক্রমশই ‘জটিল’ হচ্ছে, তা বললে বেশি বলা হবে না বলছেন রাজনীতি কারবারিদের অনেকে।