কলকাতা পুড়ছে, পুড়বে…

Tremendous Heatwave: গরমকালে গরম পড়বেই। কিন্তু এপ্রিলের গোড়াতেই যে গরম পড়েছিল, তার অশনিসঙ্কেত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে কলকাতায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। তড়িঘড়ি স্কুলকলেজ ছুটি দিয়ে পড়ুয়াদের স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা ঘোষণা করেছিল সরকার। কলকাতায় কেন এত গরম বাড়ছে, বৃষ্টির তো দেখা নেই, ভ্যাপসা গরম পড়লেই যে কালবৈশাখীর আভাস পাওয়া যেত, তারও দেখা মিলছে না কেন... এমন শত শত প্রশ্ন আমজনতার। সরকার-প্রশাসনকে দোষ ঢেলে মানুষ রোজ নিজের স্বার্থে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে।

কলকাতা পুড়ছে, পুড়বে...
Follow Us:
| Updated on: Jun 23, 2024 | 8:30 AM

‘কোল্ড ড্রিঙ্কস বা আইসক্রিমের একটা দোকান দেখতে পেলে একটু দাঁড়িয়ে যেও, ভাই। আর তো পারা যাচ্ছে না!’ ঘামে ভিজে গিয়েছে রুমাল। সেই রুমাল দিয়ে আরও একবার মুখ মুছে নিয়ে রোদচশমাটা ঠিক করে পরে নিল ত্রিশের রুমি। খটখটে শুষ্ক, গা জ্বালা করা গরমে ব্যাঙ্কের কাজে বেরিয়েছিল সে। চেনা রিক্সাওলাকে ডেকে নিয়ে সকাল সকাল ব্যাঙ্কে যাবে বলে ঠিক করেছিল। কিন্ত সংসারের সব কাজ সামলে বের হতে সেই দেরি হয়ে যায়। ঘড়িতে তখন বেলা সাড়ে ১০টা। বাড়ি থেকে বের হতেই মনে হলে আগুনের গোলা মুখের সামনে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল। চোখে রোদচশমা, সানস্ক্রিন ক্রিম, মুখ-মাথা ওড়না ঢাকা দিয়েও রক্ষা পেল না রুমি।

বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কের দূরত্ব খুব বেশি নয়। কিন্তু যেতে হলে রিক্সা-টোটো নিলে তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যায়। রোদে-গরমে নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম এপ্রিলের গোড়াতেই। পড়ে রয়েছে এখনও গোটা দুটো মাস। এখনই যেন বাড়ির ভিতরে থেকেও শান্তি নেই। পাখার হাওয়া যেন গায়েই লাগছে না। এসির হাওয়ায় যতক্ষণ থাকা যায়, ততক্ষণ মঙ্গল। কিন্তু তারপর…। এত কিছু ভাবনা আর আশঙ্কায় হঠাত করে গলা প্রায় শুকিয়ে আসছিল। ব্যাগে রাখা ঠাণ্ডা জল ঢকঢক করে খেয়ে প্রাণে স্বস্তি পেল সে। গা-হাত জ্বালা ধরাটাও কম হল বোধহয়। সকাল সাড়ে ১০টাতেই রোদের তেজ যেন আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বের হওয়ার মতো লাগছে। ঘেমে নেয়ে একসা হয়ে ব্যাঙ্কে ঢুকে যেন একরাশ শান্তির শ্বাস পড়ল তার। কিন্তু ব্যাঙ্কের কাজ শেষ হতে হতে বেলা গড়িয়ে প্রায় ১টা বেজে গিয়েছে। ঠাণ্ডা ঘরের দরজা খুলতেই গরম হাওয়ার হলকাটা যেন আবার সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ল। অসম্ভব একটা অস্বস্তিতে গা-টা পাকিয়ে উঠল। আগুনের গোলা যেন অপেক্ষাতেই ছিল, রুমি কখন বের হবে। চোখে-মুখ যেন ঝলসে যাচ্ছে তার। ধারেকাছে একটা বড় গাছ নেই যে তার ছায়ায় একটু আশ্রয় নেবে। ছাতা নিয়ে একরাশ অস্বস্তি-বিরক্তি নিয়ে রিক্সাওলার জন্য অপেক্ষা করছিল ফুটপাতে। খাঁ খাঁ দুপুরের চ়ড়া রোদের পুরো তেজটাই যেন গিলে খাচ্ছিল তাকে।

সময় আরও গড়িয়েছে। প্রখর রোদ-দুপুরে রাস্তায় গোটাকয়েকজন। কেউ কেউ সহ্য করতে না পেরে বসে পড়েছেন, কেউ কেউ আবার নিস্তেজ হয়ে হাঁপাচ্ছেন। কোনও ক্রমে নিজের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারলেই হল আর কি। রিক্সাওলার হাঁকডাকে সম্বিত ফিরল রুমির। রিক্সায় চড়ে বাড়ির দিকে যাওয়া শুরু করতেই চোড় পড়ল কালো পিচের রাস্তার উপর। সেগুলিও যেন গলে গিয়েছে। ধোঁয়ার মতো লু বইছে। দোকানপাট বন্ধ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে গিয়েছে দোকানিরা। রাস্তার ধারের যে কটা বড় বড় গাছগুলি রয়েছে, তারাও যেন খিটখিটে বুড়োদের মতো নিস্তেজ হয়ে গিয়েছে। কাক-কাঠবেড়ালিদের আগলে রেখে ঝিমোচ্ছে। তেষ্টায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। গলা শুকিয়ে কাঠ। ব্যাগের বোতলে আর জলও নেই। মাথার উপর ঘূর্ণির মতো ঘুরপাক খাচ্ছে সূর্যের তেজ। মাথা যেন আর ভার রাখতে পাচ্ছে না। জল না পেলে এবার বুকের ধুকপুকানিটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হিটস্ট্রোক হয়ে যেতে পারে যখন-তখন। মনের মধ্যে কুডাক আসতেই চিত্‍কার করে ওঠল, সামনের একটা দোকানে দাঁড়িও। আর পারছি না। একটা আইসক্রিম বা কোল্ডড্রিঙ্কস খেয়ে গলা না ভেজালেই নয়।’

বাড়ি ফিরেই মাথার যন্ত্রণায়, পরিশ্রান্ত হয়ে বিছানায় শরীরটা শুধু ভাসিয়ে দিল রুমি। আর উঠতে পারল না। কারওর ডাকে সাড়া দিতে বিরক্ত লাগছে তার। শুয়ে শুয়েই মনস্থির করল, মেয়েকে এই কদিন আর স্কুলে পাঠাবে না। কিন্তু সেটা কতদিন। গরম তো সবে শুরু হল। এখনও অনেক দেরি। বছরের বেশিরভাগ সময়টা কেটে যায় ভ্যাপসা গরমেই। রাতে এসি চালিয়ে শুতে পারে না বছর ত্রিশের রুমি। সিলিং ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান চালিয়েও স্বস্তি নেই। গভীর রাতেও গরমের মাত্রা কমছে না। তার মধ্যে কারেন্ট অফ হলে তো আর রক্ষে নেই। রাত শেষ হতে না হতেই যেন দুপুর শুরু হয়ে যাচ্ছে। সকালবেলার আরামটা বর্তমানে উহ্য। রাতের অন্ধকার কেটে গিয়ে সূর্যের আলো ফুটতেই যেন লাভা নির্গত হচ্ছে বলে মনে হয়। বলতে গেলে, মানুষের অজান্তেই হারিয়ে গিয়েছে সকালটা।

গরমকালে গরম পড়বেই। কিন্তু এপ্রিলের গোড়াতেই যে গরম পড়েছিল, তার অশনিসঙ্কেত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে কলকাতায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। তড়িঘড়ি স্কুল-কলেজ ছুটি দিয়ে পড়ুয়াদের স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা ঘোষণা করেছিল সরকার। কলকাতায় কেন এত গরম বাড়ছে, বৃষ্টির তো দেখা নেই, ভ্যাপসা গরম পড়লেই যে কালবৈশাখীর আভাস পাওয়া যেত, তারও দেখা মিলছে না কেন,এমন শত শত প্রশ্ন আমজনতার। সরকার-প্রশাসনকে দোষ ঢেলে মানুষ রোজ নিজের স্বার্থে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। আবহাওয়ার তীব্র পরিবর্তনের পিছনে যেমন রয়েছে এল নিনোর প্রভাব, তেমনি রয়েছে মানুষের জ্ঞানশূণ্য কাজকর্ম। বিশেষজ্ঞ বা বিজ্ঞানীরা শুধু রাষ্ট্রনেতা বা প্রশাসনের উদ্দেশ্যেই বলেন না, আপামর দেশবাসীকে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার বার্তা দেন। এপ্রিলের গোড়াতেই কলকাতা যেন পুড়ছে। আগুনের গোলার মতো ধেয়ে আসা বাতাস শরীরকে পুরো এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছে।

হিসেব বলছে, ২০০৯ সালের প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো দশার জেরে একের পর এক রেকর্ড গরম পড়েছিল। এপ্রিলের মাঝে, অর্থাত্‍ ১৮ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। ছুঁয়েছিল ৪১ ডিগ্রির পারদ। ২০১০ সালেও এপ্রিলে চল্লিশ ছুঁয়েছিল কলকাতার তাপমাত্রা। তারপরের চার ছ স্বস্তি গিয়েছিল কলকাতাকে। ২০১৪ সালে ফের চল্লিশ থেকে একচল্লিশ ডিগ্রি ছুঁইয়েছিল গরম। ২০১৬ সালেও চল্লিশের কোঠা থেকে নামতে পারেনি। চলেছিল প্রায় ৬ থেকে ৯দিন।সেই বছরই শতাব্দীর উষ্ণতম দিনের তকমা পেয়েছিল তিলোত্তমা। কলকাতার পাশাপাশি আসানসোল, বাঁকুড়া, পানাগড়, মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার তাপমাত্রা ছিল চল্লিশ-বিয়াল্লিশের উপর। ২০২৪ সালে রেকর্ড গরম পড়েছিল কলকাতায়। এপ্রিলের শেষে, আলিপুরের পারদ উঠেছিল ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। মাঝে হালকা বৃষ্টি, রেমালের মতো ঘূর্ণিঝড়, উত্তরবঙ্গে অলৌকিকভাবে টাইফুনের উদয়, প্রাক-বর্ষায় কলকাতা বৃষ্টিহীন দশা। আবহাওয়ার এমন তারতম্যের জন্য দায়ী কে? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? কিসের সঙ্কেত দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা?

প্রাণের শহর কেন পুড়ছে? এই প্রশ্নের রয়েছে হাজার উত্তর। পরিবেশবিদ ড সুদীপ্ত মোদকের কণ্ঠে চিন্তা ও আক্ষেপের সুর শোনা যায়। প্রশ্ন শুনেই বলে ওঠেন, কলকাতায় কটা গাছ আর কনস্ট্রাকশন রয়েছে, বলতে পারবেন? কনস্ট্রাকশনের তথ্য আপনি পুরোপুরি বলতে পারবেন না, কিন্তু গাছে সংখ্যা একটু চোখ খোলা রাখলেই নিজে থেকে বলে পারবেন। আর যেগুলি বড় বড় গাছ রয়েছে, সেগুলি এতটাই বুড়ো হয়ে গিয়েছে যে ঝড়ে বেশিরভাগই উপড়ে যায়। এছাড়া নতুন গাছের সংখ্যা কটা হতে পারে? তিলোত্তমা থেকে ধীরে ধীরে উবে যাচ্ছে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন প্রকারের গাছ। বড় বড বহুতল বানাতে গিয়ে গলা কাটা যাচ্ছে গাছগুলির। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার চলছে পুকুর বোজানোর কাজ। এগুলি সাধারণ মানুষও বলে দিতে পারেন। কিন্ত প্রাণের শহরের গরম বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ হল, হিট রিটেনশন ফ্যাক্টর। সুদীপ্ত মোদকের কথায়, শহর ও শহরাঞ্চলের মধ্যে এত বেশি বহুতল তৈরি হচ্ছে যে তার জেরে তাপ শোষণ প্রক্রিয়ার মাত্রাও হু হু করে বাড়ছে। কংক্রিটের জঞ্জালে তাপ ধারণ করার ক্ষমতা বেশি থাকে। শুধু ধারণ ক্ষমতাই নয়, তাপ বিচ্ছুরণ করতেও সময় লাগে অনেকটা। তার ফলে দিনের বেলা যতটা সূর্যের তাপ থাকে, সেই তাপ আর বাইরে বের হতে পারে না। দীর্ঘমেয়াদী একটা তাপপ্রাবহ তৈরি হয়। জমে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহকে ঠাণ্ডা করার প্রক্রিয়াও বেশ শ্লথ। এর পিছনেও রয়েছে একটি কারণ। মাটির উপরিভাগে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে আর্দ্রতার মাত্রা বেড়েই চলেছে দিন দিন। আর্দ্রতা হল জলকণামাত্র। জলের একটি ধর্মই হল, তাপ ধারণ করা। এর জেরেই বাড়ছে ভ্যাপসা গরম। চড়ছে তাপের জ্বালা। তাই যে জায়গায় আর্দ্রতার মাত্রা কম, সেই জায়গায় খুব তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা আবহ তৈরি হয়। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা ও প্যাচপ্যাচে গরম দিন দিন বেড়েই চলেছে। সূর্যের তাপ বিচ্ছুরণ হওয়ার কোনও জায়গা থাকছে না। তাই দীর্ঘমেয়াদী গরম থেকেই যাচ্ছে। রাত ২টো, ৩টে পর্যন্ত তাপ বিচ্ছুরণ হতে হতে ফের সকালে সূর্যের তাপ ধারণ করার প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও আরও রয়েছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। বিশেষ করে কলকাতায় অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে যানবাহনের সংখ্যা। তার সঙ্গে বেড়ে গিয়েছে ভলাটাইল অর্গ্যানিক কম্পাউন্ড (Volatile organic compound)। এর ফলে মাটি তার উপরের স্তরের তাপকে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখছে। শুধু কলকাতায় নয়, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে বেড়েছে রেকর্ড তাপমাত্রা। বায়ুদূষণের প্রভাবে প্রতি বছর গরমের পারদ চড়ছে হু হু করে। আগাম লাগাম না দিলে আগামী বছরও পুড়বে তিলোত্তমা শহর। নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত দূষণ, বহুতল নির্মাণের কাজ। আগামীদিনগুলিকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে সর্বজনবিদিত বৃক্ষরোপনের পরিল্পনা সফল করা প্রয়োজন। একমাত্র গাছই পারে তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে। সারাবিশ্বে কমবেশি এল নিনোর প্রভাব পড়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়ণ নিয়েও কম চর্চা হয়নি! পরিবেশকে বাঁচাতে বৃক্ষের অবদানকে কখনও অগ্রাহ্য করলে চলবে না।

তিলোত্তমাদের নিয়ে ছবির জের, সাসপেন্ড রাজন্যা-প্রান্তিক
তিলোত্তমাদের নিয়ে ছবির জের, সাসপেন্ড রাজন্যা-প্রান্তিক
আপনার হাতে হঠাৎই কয়েক কোটি টাকা চলে আসতে পারে! কীভাবে জানেন?
আপনার হাতে হঠাৎই কয়েক কোটি টাকা চলে আসতে পারে! কীভাবে জানেন?
চেহারা নিয়ে প্রশ্ন, ঐশ্বর্যকে নিয়ে নতুন তথ্য সামনে
চেহারা নিয়ে প্রশ্ন, ঐশ্বর্যকে নিয়ে নতুন তথ্য সামনে
উত্‍সবের মরসুমে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসার সম্ভাবনা
উত্‍সবের মরসুমে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসার সম্ভাবনা
ভারতীয় সেনার তরোয়াল বল্লমের বিপক্ষে মেশিনগান, এক অসম যুদ্ধ জয়ের গল্প
ভারতীয় সেনার তরোয়াল বল্লমের বিপক্ষে মেশিনগান, এক অসম যুদ্ধ জয়ের গল্প
কেমন আছেন মনোজ মিত্র, দাদা কে নিয়ে মুখ খুললেন ভাই অমর মিত্র
কেমন আছেন মনোজ মিত্র, দাদা কে নিয়ে মুখ খুললেন ভাই অমর মিত্র
সাইলেন্ট প্যানডেমিকের কবলে, উজাড় হয়ে যেতে পারে পাকিস্তান!
সাইলেন্ট প্যানডেমিকের কবলে, উজাড় হয়ে যেতে পারে পাকিস্তান!
Manoj Mitra: সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে মনোজ মিত্র, এখন কেমন আছেন?
Manoj Mitra: সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে মনোজ মিত্র, এখন কেমন আছেন?
Pujarini Ghosh: হাসপাতালে অভিনেত্রী পূজারিণী ঘোষ, কী হয়েছে তাঁর?
Pujarini Ghosh: হাসপাতালে অভিনেত্রী পূজারিণী ঘোষ, কী হয়েছে তাঁর?
সন্দেশখালি থেকে বগটুই, প্রশাসন ব্যর্থ, আদালতের প্রায়শ্চিত্ত!
সন্দেশখালি থেকে বগটুই, প্রশাসন ব্যর্থ, আদালতের প্রায়শ্চিত্ত!