ইনস্টায় আলাপ, ব্যাঙ্ক কর্মীর মেয়েকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে, একটা ‘ভুলেই’ সব ফাঁস!

এইভাবেই এক তরুণীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে এসে পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিউ আলিপুর থানার পুলিস ওই কিশোরীকে বসিরহাট থেকে উদ্ধার করে।

ইনস্টায় আলাপ, ব্যাঙ্ক কর্মীর মেয়েকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে, একটা 'ভুলেই' সব ফাঁস!
অভিযুক্ত যুবক সুজয়
Follow Us:
| Updated on: Jan 10, 2021 | 3:49 PM

কলকাতা: ইনস্টাগ্রামে আলাপ হয়। তারপর সামান্য কথাবার্তা। অল্পবিস্তর বন্ধুত্ব। দেখা করার পর প্রেম, বিয়ের প্রতিশ্রুতি। এইভাবেই এক তরুণীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে এসে পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিউ আলিপুর (New Alipur)থানার পুলিস ওই কিশোরীকে বসিরহাট থেকে উদ্ধার করে।

জানা গিয়েছে, ১৬ বছরের ওই কিশোরী নিউ আলিপুরের বাসিন্দা এক ব্যাঙ্ক কর্মীর মেয়ে। ইনস্টাগ্রামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।তার সঙ্গেই চলতে থাকে ব্যাঙ্ককর্মীর মেয়ের প্রেম।  পরিবার প্রথমে সেকথা জানত না। ফোনে মেয়েকে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখে মায়ের সন্দেহ হয়। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলেও স্পষ্ট করে সে কিছুই জানায় না।

পরিবারের দাবি, দিন কয়েক আগে দোকানে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় মেয়ে। আর ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করেন পরিবারের সদস্যরা। মেয়ের ফোনেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। এরপর নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। পরিবারের কাছেই দুদিন আগে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। পরিবারের দাবি, ওই ফোনে কোনও মুক্তিপণ চাওয়া হয়নি। তবে মেয়ে যে তাদের কাছেই রয়েছে সেকথা জানিয়ে দেয় তারা। এবং মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার জন্য তাকে টাকা দিতে হবে বলেও ফোনে জানিয়ে দেয় যুবক।

আরও পড়ুন:   ‘কে কার হাত ভাঙে দেখা যাবে’, কল্যাণকে পাল্টা নিশানা ‘বাহুবলী’ অর্জুনের

এরপর পুলিস ওই নম্বরের সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে। দেখা যায় নম্বরটি বসিরহাটের। সুজয় হাজরা নামে এক যুবক ওই নম্বরটি ব্যবহার করে। সাত ঘণ্টার মধ্যেই সুজয়কে বসিরহাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। জেরায় সে কিশোরীকে আটকে রাখার কথা স্বীকার করে।  জানা যায়, কিশোরীকে নিয়ে প্রথমে সে চলে আসে বসিরহাটের এক মন্দিরে। সেখানে সিঁদুর পরিয়ে তাকে বিয়ে করে সে। এরপর ওই পরিত্যক্ত বাড়িটিকে নিজের বাড়ি বলে আটকে রাখে। কিশোরীর কাকার নম্বরে ফোন করে সুজয়। জানায়, ‘আপনাদের মেয়েকে আমি খুঁঁজে দেব। তবে আমার কিছু টাকা লাগবে।’

এরপর ওই নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিস বসিরহাটের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। জানা যায়, সুজয় সংবাদপত্রে বিভিন্ন নিখোঁজের বিজ্ঞাপন দেখে সংশ্লিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করে। নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে দেওয়ার নাম করে টাকা দাবি করত সে। এটাই ছিল তার পেশা! এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা, পুলিস খোঁজ করছে।