Kolkata Metro: মিলেছে পুরসভার অনুমতি! দমদমের বহুতলের চারতলার কার্নিশের ওপর দিয়েই ছুটবে মেট্রো! কেন জানেন?
Kolkata Metro: বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বহুতল বেআইনি হলে, পুরসভার অনুমোদন মিলল কীভাবে? সদুত্তর মেলেনি তাতে। মেট্রো চলাচল এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু মেট্রো চলাচল শুরু হলে কম্পনের জেরে বহুতল শেষ পর্যন্ত টিকবে তো? সেটাতেই চিন্তিত বহুতলের বাসিন্দারা।
কলকাতা: এক রাশ আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাচ্ছে দমদম পুরএলাকার এক আবাসনের বাসিন্দারা। কারণ ওই আবাসনের কার্নিশের ওপর দিয়েই নাকি ছুটবে মেট্রো রেল। বাসিন্দাদের আপত্তি উড়িয়ে বহুতলের কার্নিশের ওপর দিয়েই তৈরি হয়েছে মেট্রোর যাত্রাপথ। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, মেট্রো রেলপথের জায়গা দখল করেই তৈরি হয়েছে ওই বহুতলের একাংশ। দমদম পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নস্কর পরিবারের জমিতে ৮ বছর আগে তৈরি হয়েছে ওই বহুতল। আর ওই বহুতলের প্রমোটারও সেখানেই থাকেন। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বহুতল বেআইনি হলে, পুরসভার অনুমোদন মিলল কীভাবে? সদুত্তর মেলেনি তাতে। মেট্রো চলাচল এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু মেট্রো চলাচল শুরু হলে কম্পনের জেরে বহুতল শেষ পর্যন্ত টিকবে তো? সেটাতেই চিন্তিত বহুতলের বাসিন্দারা।
ওই বহুতলের প্রোমোটার প্রমোদ মিশ্র বলছেন, “আমি যখন এই প্রোমোটিংটা করি, তখন মিউনিসিপ্যাল রেকর্ড অনুযায়ী এটা আড়াই কাঠা জমি ছিল। জমিও আমার আড়াই কাঠা, অনুমোদনও হয়েছে তাই। মেট্রো রেল হওয়ার পর একটি কোম্পানির ঠিকাদার এলেন, তিনি বললেন, আপনাদের বাড়ি কিছুটা অংশ রেলের জমির মধ্যে ঢুকে রয়েছে।” কীভাবে সেটা সম্ভব, কারণ অনুমোদন তো দিয়েছে পুরসভা, সেটাই প্রশ্ন।
আবাসনের এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের বাড়ির একটা অংশের আট ফুট ঢুকে গিয়েছে। তাই দেখে ওরা ওই অংশটা ভেঙে মেট্রো রেলের পথ বানিয়ে ফেলল। এখন আমরা অনেকটাই আতঙ্কে রয়েছি। কারণ যখন মেট্রো চলবে, বাড়ি ভাঙা পড়ে, তখন আমরা কী করব, বুঝতেই পারি না।” আরেক বয়স্ক মহিলা বলেন, “রাতে ভয়ে ঘুমোতে পারি না। বাড়ি কবে ভেঙে যাবে, কোথায় যাব, সেই আতঙ্কে রয়েছি। আমরা হাত জোড় করে বলছি, যাতে আমরা কটা টাকা পাই, আমরা এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। কবে চাপা পড়ে যাব, জানি না।”
ফ্ল্যাট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আশিস সাহা বলেন,”আমরা আবেদন করছি, যাতে আমাদের কোনও একটা সুরাহা হোক। আমরা কোথায় যাব? আমরা সবাই আতঙ্কে।” যদিও মেট্রোর সিপিআরও-র বক্তব্য, “এই প্ল্যানিংটা অনেক আগে থেকে হয়েছে। মেট্রো নিজের জমির ওপরেই নির্মাণ করেছে।”
তবে এই নিয়ে ভোটের মুখে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তের বক্তব্য, “এটাই তো বাংলার ছবি। দমদমে কত বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। এগুলো করেছেন বলেই তো কাউন্সিলর-মেয়রদের এত সম্পদ হয়েছে।”
অন্যদিকে, সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “এটা ভয়াবহ ঘটনা। রেলের জমি দখল করেও আবাসন হয়ে যাচ্ছে। যা হচ্ছে ভাবা যায় না। সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।”