KMC: করের টাকা বাকি ফিরহাদ হাকিমের! বিল দেখে বিভ্রান্ত মেয়র নিলেন বড় সিদ্ধান্ত
KMC: শনিবার সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১ মার্চ থেকে সম্পত্তি করের বিল আর ভাগে ভাগে যাবে না। একটাই বিল পাঠানো হবে।
কলকাতা: এতদিন কলকাতা পুর এলাকার নাগরিকদের যে সম্পত্তি করের বিল পাঠানো হোত তা বিভিন্ন ধাপে মানুষের হাতে পৌঁছাতো। স্বাভাবিকভাবেই নাগরিকরা সেই বিল অনুযায়ী সম্পত্তি করে টাকা দিলেও বিভ্রান্তি থেকে যেত। খোদ কলকাতার মেয়রের বাড়িতে বিভিন্ন ধাপে বিল যায়। যা ঘিরে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। একটা বিলের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পর নাগরিকরা মনে করেন, করের বিল দেওয়া হয়ে গেল। কিন্তু দু’মাস পর আবারও সম্পত্তি করের অন্যরকম বিল পৌঁছে যেত নাগরিকদের বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবেই নাগরিকরা বিভ্রান্ত হতেন। একবার করের টাকা দেওয়ার পরও কেন আবার সম্পত্তি করের বিল এল তা নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক হোত। স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই বিভ্রান্তির শিকার হন। এরপরই শনিবার সিদ্ধান্ত হয় সম্পত্তি করের বিলে সরলীকরণ করা হবে। বিল বিভিন্ন ভাগে নয়, একবারই একটি বিল তৈরি করে নাগরিকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। মূলত সাপ্লিমেন্টারি আউটস্ট্যান্ডিং বিল, লেটার অফ ইনডেন্ট, পিরিওটিক ডিমান্ডস এই তিন ভাগে বিল পাঠানো হোত নাগরিকদের বাড়িতে।
কিন্তু শনিবার সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১ মার্চ থেকে সম্পত্তি করের বিল আর ভাগে ভাগে যাবে না। একটাই বিল পাঠানো হবে। তার মধ্যেই সব কিছু উল্লেখ করা থাকবে। অর্থাৎ সাপ্লিমেন্টারি আউটস্ট্যান্ডিং বিল, লেটার অফ ইনডেন্ট, পিরিওটিক ডিমান্ডস তিন টেবিল একসঙ্গে এবার আসবে। সব মিলিয়ে একটাই সম্পত্তি করের বিল পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সাধারণ মানুষ তো বুঝতেই পারেন না এত ভাগে বিল কেন? আমি নিজেও বুঝতে পারতাম না। আমাকে একদিন বলা হল, আমার এক কর বাকি। আমি টাকা দিই। এরপর শূন্য ট্যাক্স দেখাচ্ছিল। কিন্তু কিছুদিন পর আবার দেখি কর বাকি রয়েছে। কলকাতার মেয়র হয়ে আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে যাচ্ছিলাম যে রোজ রোজ কীভাবে আলাদা আলাদা ট্যাক্সের বিল আসতে পারে। এরপর আমি কমিশনারকে বললাম। নতুন সিস্টেমে একটাই বিল হবে। তাতে সমস্ত কিছু থাকবে। এতে মানুষ কনফিউজ হবে না।”