Kolkata Accident: ফের শহরে দুর্ঘটনা, মত্ত চালক ধাক্কা মারলেন যুবককে!
Bally News: চিংড়িহাটার রাস্তাও যেন মরণফাঁদ। মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে চিংড়িহাটা এলাকায়। এক যুবক ও এক তরুণী সাইন্সসিটির দিক থেকে বাইকে চেপে চিংড়িঘাটার দিকে যাচ্ছিলেন।
কলকাতা: ফের রাতের শহরে দুর্ঘটনা। টালার খিলাত বাবু লেনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে যুবককে। গুরতর আহত অবস্থায় বিশ্বজিৎ নস্কর নামে বছর তিরিশের যুবককে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্বজিত্ নামে ওই যুবক। একটি চার চাকা গাড়ি হঠাৎই তাঁকে গিয়ে ধাক্কা মারে। ওই গাড়ির চালক মদ্যপ ছিলেন। তিনি অন্য আরেক জনকে গাড়ি চালানো শেখাচ্ছিলেন। সে সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি ধাক্কা মারে ওই যুবককে।
রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। তাঁর পায়ে আঘাত লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টালা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘাতক গাড়ি ও চালককে আটক করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে যায় টালা থানার বিশাল পুলিশ।
চিংড়িহাটার রাস্তাও যেন মরণফাঁদ। পঞ্চমীর রাতেই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে চিংড়িহাটা এলাকায়। এক যুবক ও এক তরুণী সাইন্সসিটির দিক থেকে বাইকে চেপে চিংড়িঘাটার দিকে যাচ্ছিলেন। রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মেট্রোপলিটন লেনের কাছে রাস্তার ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে বাইকটি। সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে লোহার গার্ডরেলে সজোরে ধাক্কা মারেন যুবক। দুর্ঘটনায় শরীর থেকে মাথা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উল্টোদিকের লেনে গিয়ে পড়েন বাইক চালক। বাইকের পেছনের সিটে থাকা তরুণী গুরুতর জখম অবস্থায় এখনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। যুবকের দেহ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মুণ্ড উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
গত কয়েকমাসে লাগাতার দুর্ঘটনা ঘটছে ওই এলাকায়। কারণ সেই বেপরোয়া গতি। গত মাসের শেষে গাড়ি উল্টে মারাত্মক জখম হন জখম ২। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডার ধাক্কা মেরে উল্টে যায় এক গাড়ি।গাড়িতে দুই তরুণী ও দুই যুবক ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হন প্রত্যেকেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাইভেট গাড়িটি নিকোপার্কের দিক থেকে চিংড়িহাটার দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির গতিবেগ স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল। ওই রাস্তায় নবদিগন্ত পার্কের সামনে একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়িটি।
কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা রাস্তায় একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও কেউ গতির খেলায় মাততে পারে না। এর ফলেই নিয়মিত এই রাস্তা ধরার পরই অধিকাংশ গাড়ি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সেই গতিরই মাশুল গুনতে হচ্ছে চালকদের।
আরও পড়ুন: ডাকাত কালীর গল্প: স্বপ্নাদেশ পাওয়া রঘু ডাকাতের কালীকে গান শুনিয়েছিলেন স্বয়ং রাম প্রসাদও