AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Weather Update: আগামী ২ ঘণ্টার মধ্যেই চার জেলায় মুষুলধারে বৃষ্টি, সতর্কতা জারি আবহাওয়া দফতরের

Weather Update: আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি হবে কলকাতায়।

Weather Update: আগামী ২ ঘণ্টার মধ্যেই চার জেলায় মুষুলধারে বৃষ্টি, সতর্কতা জারি আবহাওয়া দফতরের
বর্ষা বিদায় নেয়নি, তাই হালকা বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2021 | 8:06 AM
Share

কলকাতা: আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামছে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় (Weather Update)। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সকাল সাড়ে ৭টার বুলেটিন অনুযায়ী, আগামী ১-২ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মুষুলধারে বৃষ্টি হবে। ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিম মেদিনীপুরেও।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি হবে কলকাতায়। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ১১৭ মিমি।

নদীর জলস্তর বাড়বে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। নীচু এলাকাগুলিকে জল জমার সম্ভাবনাও রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় ঠনঠনিয়া, বেলগাছিয়া, বেহালা ফ্লাইং ক্লাব, আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকা জলমগ্ন।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কলকাতার ৭টি জায়গায় ১০০ মিমির বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে গঙ্গার জলস্তরও। নিম্নচাপের পিছনেই আরও একটি নিম্নচাপের আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, শুক্রবারে বাংলা লাগোয়া বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হতে পারে। সেটিও নিম্নচাপে ঘনীভূত হবে, আর তার জেরেই বৃষ্টি।

এর আগে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ অবশ্য ওড়িশার ভিতরে ঢুকে পড়ায় দুর্যোগ থেকে বড় রেহাই পায় বাংলা। সর্বশক্তি নিয়ে ওড়িশাকে ভাসায় নিম্নচাপ। রেকর্ডভাঙা বৃষ্টি হয় পুরী-ভুবনেশ্বর-পারাদীপে। পশ্চিমে আরও এক নিম্নচাপের দাপটে ভাসে গুজরাতও। সেপ্টেম্বরে যা বৃষ্টি হয়, তার তিন গুণ বৃষ্টি হয়েছে মাত্র আট ঘণ্টায়।

দুর্যোগ-দুর্ভোগের অন্ত নেই। নিম্নচাপের পিছনেই আরও একটি নিম্নচাপের কারণে এই সমস্যা। আর তার জেরে নাকাল শহরবাসী। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীরপুরে। আর এতেই ঘুম উড়েছে উপকূলবাসীর। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নদী বাঁধ ভেঙে বিপাকে পড়েছে প্রায় কুড়ি হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সত্তর হাজার পরিবার। ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশ মেনে উদ্ধারকার্যে নেমেছে এনডিআরঅফ টিম। চলছে জলমগ্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের কাজ। কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ-ও পৌঁছে গিয়েছে। বিপদগ্রস্থ মানুষকে শুকনো খাওয়ার বিতরণ বিভিন্ন জায়গায়।

মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ইতিমধ্যেই ফেরত আসার জন্য বলা হয়েছে। বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু রোজই হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক স্তর থেকেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সময়ে যাতে কেউ খোলা আকাশের নীচে না থাকেন, মাঠে বা জমিতে কাজ না করেন, কংক্রিটের ছাদের তলায় আশ্রয় নেন, তার জন্য বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: COVID: তৃতীয় তরঙ্গের হাতছানি? জলপাইগুড়িতে আরও এক শিশু কোভিড পজিটিভ

আরও পড়ুন: Bankura: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বজ্রঘাতে মৃত্যু আরও একের, আহত ৫! সেই বাঁকুড়াতেই