Kolkata Safe Home: কলকাতায় কোভিড ‘সুনামি’, আবারও শহরে চালু ৩টি সেফ হোম
Kolkata Safe Home: তিনটি সেফ হোমের শয্যা সংখ্যা ৩৫০। কলকাতার তিনটি সেফ হোম। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল বাইপাস সংলগ্ন সেফ হোম। এখানে রয়েছে ২০০ টি শয্যা।
কলকাতা: কলকাতা কাবু কোভিডে। যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ফের খোলা হচ্ছে সেফ হোমগুলি। তিনটি সেফ হোমের শয্যা সংখ্যা ৩৫০। কলকাতার তিনটি সেফ হোম। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল বাইপাস সংলগ্ন সেফ হোম। এখানে রয়েছে ২০০ টি শয্যা। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্তা ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি পরিদর্শন করেছেন। বেডগুলির পরিকাঠামো, কাজের গুণগত মান, পরিচ্ছন্নতা-সব খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্য দফতরের এক জন হেলথ অফিসারও।
আরেকটি সেফ হোম হয়েছে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এই সেফ হোমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায়, তা খোলা হয়েছে। সেগুলিকে চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসন। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ১০০ টি শয্যা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তা পরিস্কার করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের তরফে চিকিৎসক ও নার্সরা এই সেফ হোমের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কলকাতার তৃতীয় সেফ হোমটি রয়েছে উত্তর কলকাতায়। সেখানে ৫০টি শয্যা রয়েছে।
ক্রমেই জাল ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। পরিসংখ্যান বলছে, একধাক্কায় প্রায় ৩ হাজার বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত ৯ হাজার ৭৩। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৬ জন করোনা রোগীর। কলকাতার সঙ্গে সংক্রমণে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বীরভূম, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
রাশ টানতে কলকাতায় ২৫ টি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি আবাসনের ৪-৫ জন সংক্রমিত হলেই, সেটি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
আগে যেখানে একটি বড় এলাকা বা একটি গোটা পাড়াকে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করে এলাকার প্রবেশপথ বাঁশ, পুলিশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হত, এখন পরিস্থিতি তেমন নয়। বর্তমানে ছোট ছোট এলাকা চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে উপসর্গ অনেক হালকা। চিকিৎসক বলছেন, “ভাগ্য ভালো আক্রান্তদের বেশিরভাগই ৫-৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হয়তো হোম আইসোলেশনের যে লম্বা ১৭ দিনের পিরিয়ড, সেটাকেও কমিয়ে আনা হবে। যদি সেটা কমিয়ে আনা হয়, তাহলে ওয়ার্ক টার্নওভার বা অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী হবে।”
বিশ্বের অনেক দেশই এখন ১৪ দিন বা ২১ দিনের আইসোলেশনের নিয়মে বদল এনেছে। সম্প্রতি আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আমেরিকাবাসীর জন্য আইসোলেশনের নতুন প্রোটোকল চালু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে করোনা আক্রান্ত হলে পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। সাতদিন পর কাজে যোগ দেওয়া যাবে। সেই পথেই এবার ভারতও হাঁটবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। মঙ্গলবার এসএসকেএমের চিকিৎসকদের কথাতেও তেমনই ইঙ্গিত মিলল। করোনা আক্রান্তদের যাঁরা চিকিৎসা করবেন, সেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাহলে প্রশ্ন, পরিষেবা দেবেন কারা?