‘তৃণমূলে ফিরলে কুকুরের মতো থাকতে হবে’, রাজীব ইস্যুতে বিস্ফোরক সৌমিত্র

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) 'বিতর্কিত' ফেসবুক পোস্ট ঘিরে আরও একবার বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)।

'তৃণমূলে ফিরলে কুকুরের মতো থাকতে হবে', রাজীব ইস্যুতে বিস্ফোরক সৌমিত্র
রাজীবকে নিশানা সৌমিত্রের, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 09, 2021 | 11:12 AM

কলকাতা: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ‘বিতর্কিত’ ফেসবুক পোস্ট ঘিরে আরও একবার বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। দিল্লি যাওয়ার আগে সৌমিত্র খাঁ বললেন, “যাঁদের মেরুদণ্ড নেই, তাঁদের তৃণমূলে গিয়ে কুকুরের মতো থাকতে হবে।”

ইতিমধ্যেই বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসাকে জাতীয় স্তরে নিয়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লি গিয়ে বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। আজ, বুধবার সেই একই প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে উত্থাপন করবেন তিনি। তৃণমূল থেকে আসা এক হেভিওয়েট নেতা যখন বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখ হয়ে উঠছেন, তখন তাঁরই সহকর্মী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে অন্য সুর।

রাজীব যে অন্য সুরে কথা বলতে পারেন, তা আঁচ করা গিয়েছিল মঙ্গলে হেস্টিংসের বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি। কার্যত সেই সময়েই ফেসবুকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পোস্ট করেন আর তা নিমেশে ঝড় তোলে রাজনৈতিক মহলে। তিনি বলেন, ‘মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেবে না’।

যে ৩৫৬ ধারাকে হাতিয়ার করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তাঁরই দল, তিনি সে মুহূর্তে তাল কেটেছেন! পোস্ট ভাইরাল হতেই দলের নানা নেতার তরফে তিরস্কার ধেয়ে এসেছে। শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত, যে কর্মীরা তাঁর জন্য নির্বাচনে লড়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।” তবে মঙ্গলবারই তাঁকে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন সৌমিত্র খাঁ। এক টুইটে বিষ্ণুপুরের সাংসদ রাজীবের মন্তব্য উদ্ধৃত করে লেখেন, “৪২ হাজার ভোটে হারার পর মনে পড়ল? বিজেপির ৪২ জনের বেশি কর্মী মারা গিয়েছে, তখন চুপ থাকা মানে শাসকদলকে সমর্থন করা।”

আরও পড়ুন: ক্ষোভ মেটাতে তৎপরতা? শুভেন্দুর পর রাতারাতি বিজেপির তিন সাংসদকে তলব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের!

বিজেপির মধ্যেই ভিন্ন সুরে স্বাভাবিকভাবে ফ্রন্টফুটে তৃণমূল। একে নির্বাচনে ভরাডুবি, তার ওপর দলের সিনিয়র নেতাদের দলবদলের জল্পনা। অস্বস্তিতে বিজেপি। রাজীবের বেসুরে সম্ভবত আরও বাড়ল পদ্মশিবিরের মাথাব্যথা। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কে কী ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, আমার জানা নেই। বিজেপি নেতারা আগে অন্তর্কলহ মেটান, তারপর তৃণমূল নিয়ে মন্তব্য করবেন।”