CM Mamata Banerjee: ‘কেউ দয়া করছে না, ওদের বুঝিয়ে দিন’, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির প্রতি ক্ষোভ মমতার
CM Mamata Banerjee: ব্যাঙ্কগুলির না এগিয়ে আসার পিছনে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রয়েছে কি না, এ প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী, আমলা, সচিব, জেলাশাসক, পুলিশসুপারদের নিয়ে এই বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ব্যাঙ্কগুলির না এগিয়ে আসার পিছনে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রয়েছে কি না। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘কোনও ব্যাঙ্ক দয়া করছে না, সেটা তাদের স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে হবে’। এই বৈঠকে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কেও কড়া ভাষায় বার্তা দেন মমতা। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সবক’টি সমবায় ব্যাঙ্ক সমান সাহায্য করছে না বলে এদিনের বৈঠকে অভিযোগ করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে এখনও অবধি ১ লক্ষ ১৪ হাজার ছাত্রছাত্রী আবেদন করেছে। ১৪ হাজার আবেদন মঞ্জুর পেয়ে গিয়েছেন। এখানে সবথেকে বড় বাধা হচ্ছে ব্যাঙ্কগুলো। ব্যাঙ্কগুলো আমাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে। কিন্তু আমি এডুকেশন ডিপার্টমেন্টকে বলব বারবার বলা হচ্ছে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি থেকে সহযোগিতা নিতে।” এরপরই কঠোর গলায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন হচ্ছে না? আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমি দেখতে চাই এটা মিটেছে।” এরপরই সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “অরূপ রায় কতবার বলতে হবে আমাকে এক কথা? বারবার বলা হচ্ছে অন্য ব্যাঙ্কগুলো দিচ্ছে না যেটা, পড়ে আছে যেটা, সমবায় ব্যাঙ্ক দেবে। আমাদের ব্যাঙ্ক দেবে।”
জবাবে অরূপ রায় বলেন, “আমরাই দিচ্ছি তো।” তাতেই কিছুটা বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ভাই দিচ্ছি তো বললে হবে না। আমার কাছে সংখ্যা বলছে না সে কথা। সিরিয়াসলি দেখো এটা।” পাশ থেক মুখ্যসচিব বলেন, “সব কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কও সবকিছু দিচ্ছে না।” এরপরই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। কড়া স্বরে মমতা বলেন, “ডাকো সব সমবায় ব্যাঙ্ককে। অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলোকেও মিটিং ডাকো। যুক্ত হয় ওরা খালি। কোনও কাজ করে না। সময় নষ্ট করে। আমাদের সমস্ত টাকা তো ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই যায়। তাতে ওদের একটা ইনকাম হয়। এ টাকাও তো ওরা পাবে। ইনসিওরেন্স করা আছে। সরকারের নিজের প্রকল্পের টাকা। মনে হচ্ছে যেন দয়া করছে! ওরা যে দয়া করছে না সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে। নাকি পলিটিক্যালি কেউ বলে দিয়েছে করবে না, তাই চুপ করে বসে আছে ঠুঁটো জগন্নাথের মতো। ব্যাঙ্কের যত ইউনিয়ন থেকে শুরু করে অফিসারদের অনুরোধ করব, এটা সরকারের টাকা। সরকার গ্যারেন্টার। এই ক্রেডিট কার্ডের টাকাগুলো অনুমোদন আপনারা দ্রুত করে দেবেন। প্রত্যেক কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ককেও বলো। যে করবে না তাকে রাখার তো কোনও প্রয়োজন নেই।”
আরও পড়ুন: ‘কোনও নির্দিষ্ট বাজেট নেই’, দেশের ক্রীড়াবিদদের সাফল্যে মোদীর জয়জয়কার নিশীথের