AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gang Rape: পটনার হোটেলে ‘গণধর্ষিতা’ কলকাতার সঞ্চালিকা! পদক্ষেপের কাতর আর্জি মোদী-নীতীশকে

Gang Rape: দক্ষিণ কলকাতার ওই বাসিন্দার দাবি, পটনার একটি হোটেলে তাঁকে গণধর্ষণ করেন দুই ব্যক্তি।

Gang Rape: পটনার হোটেলে 'গণধর্ষিতা' কলকাতার সঞ্চালিকা! পদক্ষেপের কাতর আর্জি মোদী-নীতীশকে
বৃদ্ধাকে ধর্ষণ (প্রতীকী ছবি)
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2021 | 10:29 PM
Share

কলকাতা: সঞ্চালনা করতে এ রাজ্য থেকে পড়শি বিহারের রাজধানী পটনায় পাড়ি দিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু সেখানে গিয়ে এক দুঃস্বপ্নের সাক্ষী হয়ে থাকতে হল তাঁকে। দক্ষিণ কলকাতার ওই বাসিন্দার দাবি, পটনার একটি হোটেলে তাঁকে গণধর্ষণ করেন দুই ব্যক্তি। এরপর কলকাতায় ফিরে তিনি যাদবপুর থানায় ওই দু’জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার পর দু’মাস কেটে গেলেও এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এখন নির্যাতিতার কাছে লাগাতার মামলা ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ফোন আসছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

বিভিন্ন বিয়ে এবং হাইপ্রোফাইল জন্মদিনে সঞ্চালনার কাজ করতে দেশের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হত বিবাহিত ওই তরুণীকে। সেই মতো গত জুলাই মাসে তিনি বিহারের রাজধানী পটনায় যান একটি বিয়ের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতে। তিনি যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ কর্মরত ছিলেন, সেই সংস্থার হয়েই পটনার ওই বিয়ের আয়োজনের দায়িত্বে থাকা দুই ব্যক্তি তাঁকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির নাম হর্ষ রঞ্জন এবং বিক্রান্ত কেজরীবাল।

TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে অভিযোগকারিণী বলেন, পটনার হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন একদিন রাতে হর্ষ এবং বিক্রম তাঁর ঘরের বাইরে এসে হাজির হয়। বাধা দেওয়া হলেও টাকা মেটানোর অছিলায় দু’জনেই ঢোকেন তরুণীর ঘরে। প্রথমে তাঁরা মদ্যপান করেন, এরপর দু’জনে মিলে গণধর্ষণ করেন ওই তরুণীকে। অভিযোগ এমনটাই। কাউকে কিছু বললে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি, গণধর্ষণ করার পর তাঁকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে জল ঢেলে দেওয়া বলেও অভিযোগ। তরুণীর দাবি, প্রাথমিকভাবে তিনি বুঝতে না পারলেও সেটা প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।

তরুণীর দাবি, এই ঘটনার পর তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে সেখানে একা তিনি কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন না। তাই কলকাতায় ফিরে এসেই যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এরপর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। যেহেতু ঘটনাটি পটনার, তাই নিয়ম মেনে এফআইআর স্থানান্তর করা হয় পটনার গান্ধী ময়দান থানায়। কিন্তু এরপর প্রায় ২ মাস অতিবাহিত। বারবার কেবল পদক্ষেপের আশ্বাস মিলেছে, কিন্তু বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: Babul Supriyo: যাঁর হাত ধরে প্রথম সাংসদ হওয়া, গোল করা শেখা, বাবুলের ফুল-বদলে সেই ‘কোচ’ বললেন…

তবে এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই লাগাতার তাঁকে ফোন করে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী। এমনকি, তাঁকে লক্ষ-কোটি টাকার টোপও দেওয়া হয় মামলা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। এই অবস্থায় ওই সঞ্চালিকার শুধুই দাবি, যেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। আদালত ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তরুণী ইতিমধ্যেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরে চিঠি লিখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: BJP On Babul Supriyo: ‘সংসার যখন ভেঙেই গিয়েছে…’, বাবুল-বিচ্ছেদকে ‘মিউচুয়াল ডিভোর্স’ বলল বিজেপি