Kunal Ghosh on Anubrata and Kajal: ‘কেষ্ট-কাজল রাম-লক্ষ্মণ, ওরাই খেলা হবে স্লোগান কার্যকর করবে’, হেসে-হেসে কেন বললেন কুণাল?

Kunal Ghosh: এই সবের মধ্যেই বোলপুরের আইসিকে নোংরা ভাষায় হুমকির ঘটনায় নাম জড়ায় অনুব্রতর। বিজেপির দাবি, ভাইরাল এই অডিয়োকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন কাজল শেখের হাত।

Kunal Ghosh on Anubrata and Kajal: কেষ্ট-কাজল রাম-লক্ষ্মণ, ওরাই খেলা হবে স্লোগান কার্যকর করবে, হেসে-হেসে কেন বললেন কুণাল?
কাজল-অনুব্রত রাম-লক্ষ্মণ?Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 21, 2025 | 7:49 PM

কলকাতা: ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে কলকাতায় যোগ দিতে এসে বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে কড়া বার্তা দিয়েছিল তৃণমূল। কারও ইগোর লড়াই যে দল সহ্য করবে না সেই সময়ই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে শনিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন অনুব্রত ও কাজলের মধ্যে কোনও লড়াই নেই। এমনকী, তাঁদের রাম-লক্ষ্মণ বলেও আখ্যা দিলেন তিনি। বললেন, “বীরভূমের রাজনীতিতে কাজল-অনুব্রত একেবারে রাম-লক্ষ্মণ জুটি…।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলে থাকেন, এক সময় বীরভূমের বেতাজ বাদসা অনুব্রতর ভয়ে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত। বিরোধী দল তো বটেই তাঁর বাক্যবাণ আর হুমকি থেকে ছাড় পেতেন না পুলিশ আধিকারিকরাও। সেই নিয়ে কেষ্টকে কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি। তবে গরুপাচার মামলায় তিহাড় জেলে তিনি চলে যেতেই ধীরে ধীরে বীরভূমের রাঙা মাটিতে দাগ কাটতে শুরু করে বিরোধীরা। শুধু বিরোধী কেন, বীরভূমের মাটিতে উত্থান হয় তৃণমূলের কাজলের। তবে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসা ছিল কেষ্টতেই। বারেবারে নিজের বক্তব্যে সে কথা বলেছেন তিনি। এমনকী, কাজলকে নাম না করে ধমক দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘কেউ কেউ নিজেকে বীরভূমের মুখ্যমন্ত্রী ভাবছে…’। এরপর কেষ্ট আবার ফেরে নিজের জায়গায়। তবে এক জঙ্গলে কি দুই বাঘ থাকতে পারে? প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা। এরপর তৃণমূল আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে কাজল-কেষ্টকে একসঙ্গে না দেখে নিন্দুকরা বারেবারে গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসে।

এই সবের মধ্যেই বোলপুরের আইসিকে নোংরা ভাষায় হুমকির ঘটনায় নাম জড়ায় অনুব্রতর। বিজেপির দাবি, ভাইরাল এই অডিয়োকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন কাজল শেখের হাত। যদিও, তৃণমূল নেতা পরিষ্কার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। এরপর কলকাতায় নিয়ে এসে দু’জনকে কড়া ভাবে বুঝিয়ে দেয় দল।

কিন্তু গোটা বিষয়টি নিয়ে অন্য মতামত পোষণ করলেন কুণাল। তিনি বলেন, “অনুব্রত-কাজলের দ্বন্দ্ব নেই। এত বড় পরিবার ও এতবড় দলের মধ্যে কারও কারও মত পার্থক্য থাকতে পারে, তবে এই নয় দ্বন্দ্ব। বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত আর কাজল রাম-লক্ষ্মণ জুটি। ওঁরা যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে লড়াই করে তখন দিনের শেষে এই রাম-লক্ষ্মণ জুটিই কিন্তু খেলা হবে স্লোগান কার্যকর করে দেবে।”